২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

আকস্মিক ঝড়ে বরগুনার আমতলীতে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৫২ অপরাহ্ণ, ২৮ মে ২০২০

বরগুনা প্রতিনিধি::  আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অর্ধশতাধিক ঘর সম্পূর্ণ ও আশিংক বিধ্বস্ত হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বুধবার রাতে। এতে অন্তত অর্ধ-কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হঠাৎ প্রবল বেগে কাল বৈশাখী ঝড় আমতলীতে আঘাত হানে। এ ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র আধা ঘন্টা। এই সময়কার কালবৈশাখী ঝড়ে চাওড়া ইউনিয়নের কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব কুকুয়া গ্রামের আবদুল হক ফকু হাওলাদারের গরুর খামার ঘর, বিধবা দেলোয়ারা বেগমের বসতঘর, সেকান্দার বেপারীর মুদি মনোহরদি দোকান, শানু মৃধার বসতঘর এবং পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের মিজানুর রহমানঘরসহ  উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত অর্ধশতাধিক টিন শেডের ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, চাওড়া কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিন শেডের ঘর বিধ্বস্ত ও পাশে পাকা ভবনের কানিংশ ভেঙে গেছে। পূর্ব কুকুয়া গ্রামের পাঁচটি ঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

কাউনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফেরদৌস আলম রাসেল বলেন, ঘুর্ণিঝড় সিডরে স্কুল ভবটি ভেঙে পড়েছিল। ওই সময় তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল আবার কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ না করলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হবে।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ রাশেদুল হাসান বশির মৃধা বলেন, ভেঙে যাওয়া বিদ্যালয় ভবনটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাই। পূর্ব কুকুয়া গ্রামের আবদুল হক ফকু হাওলাদার বলেন, ঝড়ে আমার গরুর খামার ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে অন্তত দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, কাউনিয়া বিদ্যালয় ভবন বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। ভবন নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, আপাতত ভবন মেরামত করা হবে।

ঘুর্ণিঘড় প্রস্তুতি কর্মসূচি সহকারী পরিচালক কেএম মাহতাবুল বারী  বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল আধা ঘন্টা।
আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুল ইসলাম বলেন- কালবৈশাখী ঝড়ে ২৬ টি ঘর ভেঙে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তালিকা নিরুপণের চেষ্টা চলছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরা পারভীন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ঢেউটিন দেওয়া হবে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন