১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আনন্দ-উল্লাসে কীর্তনখোলার তীরে কাটলো এক দুপুর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫৯ অপরাহ্ণ, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক:: নেচে গেয়ে আনন্দে মাতলো এবং মাতালো। সাইন্ড বক্সে মিউজিক সংবলিত নানান গান সৃষ্টি করে এক আনন্দঘন পরিবেশ। বরিশাল শহরের অদুরে শান্ত কীর্তনখোলার পশ্চিম তীর জনপদে সাংবাদিক সংগঠন ‘নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল’র বনভোজন আয়োজনকে কেন্দ্র করে এক মাহেন্দ্রক্ষণের অবতারণা ঘটে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি এক সারিতে এসে উল্লাস-আনন্দে সামিল হন বরিশালের সিনিয়র অনেক সাংবাদিক। মঙ্গলবার দুপুরের এই আয়োজন একটা পর্যায়ে যেন মিলন মেলাতে রুপ নেয়।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক উল্টে পাশে কীর্তনখোলার পশ্চিম তীরে মধ্যহ্নভোজ শেষ বাংলা গায়ের তালে তালে নেচে ওঠেন অংশগ্রহণকারীরা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও যেন উল্লাস ককমতি ছিল না। বরং মাঝের সারাটা সময় সেখান পরিবেশে উৎসবমুখরতা বিরাজ করে।

আলোচিত এই সাংবাদিক সংগঠনটির পূর্ব প্রতিশ্রুতির আলোকে মঙ্গলবার সকাল থেকে চলে তাদের প্রস্তুতি। বেলা ১টার দিকে শহরের চরকাউয়া খেয়াঘাট থেকে পরপর দুটি বিশালাকারের ট্রলারযোগে শুরু হয় যাত্রা। মিনিট বিশেক ট্রলারটি চালিয়ে যাওয়ার পরে সকলের দৃষ্টি কাড়ে সবুজঘেরা কীর্তনখোলার পশ্চিম তীর জনপদ। সভাপতি হাসিবুল ইসলাম ও নির্বাহী সদস্য আসাদুজ্জামানসহ অন্যান্যরা ছিলেন এই ট্রলারটিতে। আশপাশে তেমন একটা বসতি না থাকায় বোঝার উপায় ছিল না যে এটি বরিশালের শহরের অংশ। সেখানে প্রথম ট্রলারটি থামিয়ে অপেক্ষা দ্বিতীয় ট্রলারের। মূলত সেই ট্রলারেই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার রাকিব ভোজনসামগ্রী নিয়ে রওনা হয়েছেন। চলছে জোরালো শব্দে গান। কিছুক্ষণ পরে অপেক্ষার অবসান ঘটে। ট্রলারটি তীরে থামতেই হৈ-হুল্লোড়ে মেতে ওঠেন সকলে। সাথে নাচ-গান। কেউ কেউ ব্যস্ত ছিলেন মোবাইল হাতে সেলফি তুলতে।

নামাযের সময় হওয়ায় সিনিয়র সাংবাদিক মো. মোশাররফ হোসেনসহ অনেকে জামাত আদায় করেছেন নদীতীরে। বলা চলে সবকিছু মিলিয়ে সেখানকার পরিবেশ ছিল ব্যতিক্রম। যে বিষয়টি অংশগ্রহণকারী অনেকেই ব্যক্ত করেছেন, বলেছেন এক দুপুরের আনন্দ অভিজ্ঞতা। এমন আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়ায় নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশালকে সাধুবাদও জানিয়েছেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন