১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আমরা আইন মানি, কিন্তু ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ইলিশ শিকার করে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৪৪ অপরাহ্ণ, ০৫ অক্টোবর ২০২২

আমরা আইন মানি, কিন্তু ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ইলিশ শিকার করে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও কলাপাড়া:: দেশের নদী ও সাগরে ফের ২২ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য অধিদপ্তর। পটুয়াখালীর আলীপুর, মহিপুর ও কুয়াকাটার স্থানীয় জেলেপল্লিগুলো ঘুরে দেখা যায়, ২২ দিনের অবরোধ পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তবে তাদের অভিযোগ আমরা সঠিকভাবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা পালন করলেও ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যান।

কুয়াকাটার জেলে দেলোয়ার মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, সরকারের দেওয়া সব আইন মানতে আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি। ২২ দিনের অবরোধে আমরা ইলিশ শিকার করি না কিন্তু আমাদের এলাকায় এসে ভারতীয় জেলেরা মাছ শিকার নিয়ে যান। সরকারের কাছে অনুরোধ বাংলাদেশ ও ভারতে একসঙ্গে অবরোধ দেওয়া হয় তাহলে অবরোধ পরবর্তী সময় বেশি মাছ ধরতে পারবো।

ঝাউবন এলাকার জেলে আবুল কালাম সাংবাদিকদের জানান, অবরোধকে সামনে রেখে প্রতিদিনই আমরা দুই একটা জাল তীরে নিয়ে আসি। এভাবে অবরোধ শুরুর আগ মুহূর্তে মাছ ধরার সব সরঞ্জামাদী তীরে নিয়ে আসবো।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি আনসার উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে যাতে জেলেরা মাছ ধরার চেষ্টা না করে সেজন্য তাদের সচেতন করতে সক্ষম হয়েছি। এমনকি প্রতিটি পরিবারকে সচেতন করেছি যাতে এ সময়ে কেউ ইলিশ না কেনেন।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, একদিন পরেই মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে। এখন থেকে আমরা জেলেদের কাছে যাচ্ছি সতর্ক ও সচেতন করছি।

মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকার আগামী ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে প্রতিটি জেলেকে ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। জলসীমা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে। অবৈধভাবে যদি কেউ আমাদের জলসীমায় কেউ প্রবেশ করে তা প্রতিহত করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন