১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আমরা আন্দোলনের মধ্যেই আছি -মির্জা ফখরুল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:০৬ অপরাহ্ণ, ১৭ জানুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: বিএনপি আন্দোলনের মধ্যেই আছে মন্তব্য করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা প্রতি মুহূর্তেই আন্দোলনের মধ্যে আছি, আমরা যখন কোর্টে যাই সেটা আন্দোলনের একটা অংশ, আমরা যখন আলোচনা সভা করি সেটাও আন্দোলনের অংশ, আমরা যখন নির্বাচনে অংশ নেই সেটাও আন্দোলনের অংশ। আমরা এই আন্দোলনগুলোকে এক সাথে করে নিয়ে বড় একটা আন্দোলনের চেষ্টা করছি। সব সময় যে সফল হব সেটা বলা যাবে না, তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সফলতার জন্য।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক গোল টেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. আখতার হোসেন। এতে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ত্রুটিযুক্ত ইভিএমে ভোট কারচুপির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

মির্জা ফখরুল বলেন, ভুল-ত্রুটি আমাদের আছে, থাকতেই পারে। সেই ভুল-ত্রুটি নিয়ে আমরা কিন্তু সরে দাঁড়াইনি। বিশ্ব রাজনীতির যে পরিবর্তন হয়েছে, সেই পরিবর্তনগুলোকে সামনে নিয়ে সেগুলোকে পাশে রেখে আমাদের এগুতে হবে। আমরা আজকে হঠাৎ করে হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে চাই না।

তিনি বলেন, আমাদের অভিজ্ঞতা আছে ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময়ে এবং ২০১৫ সালের আন্দোলনের সময়ে আমাদের যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে এখনো আমাদের অনেক বেগ পেতে হচ্ছে। আমরা ভীষণভাবে বিশ্বাস করি আমরা সফল হবো। আমরা একটা বৃহত্তর ঐক্যের কথা বলছি যে, একটা বৃহত্তর ঐক্য সৃষ্টি করে যে দানব আমাদের সমস্ত অর্জনগুলোকে ধবংস করে দিয়েছে তাকে পরাজিত করতে হবে।

সমস্ত ‘ষড়যন্ত্র’ ব্যর্থ করেই ঢাকার সিটি নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীরা বিজয়ী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য আমরা নির্বাচনে গেছি। আমরা যদি জনগণকে একত্রিত করতে পারি তাহলে তাদের (সরকার) সমস্ত ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়ে আমরা এই নির্বাচনে জয়ী হতে পারবো ইনশাল্লাহ।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আগে থেকে আমরা কখনোই বলতে রাজী নই যে, এখানে (ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন) আমরা হেরে যাবো। আমরা হারবো না, অবশ্যই আমরা জয়লাভ করবো। আমরা তুরণদেরকে নিয়েছি, তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নিশ্চয়ই আমরা জয়লাভ করবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সমস্ত সুযোগ নষ্ট হয়ে গেছে সেইদিন যেদিন বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান বাতিল করে দিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের রায় প্রদান করেছিলেন। এই কথাটা আমরা অনেকেই বলি না। সেই দিন থেকে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক যে সংস্কৃতি সেই সংস্কৃতি অনুযায়ী যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে এবং তার অধীনে যে নির্বাচন পরিচালিত হয় তাহলে সেই নির্বাচন কখনোই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না-এটা আমরা সবাই জানি বুঝি। সেজন্য পরবর্তিকালে তার কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হতে পারেনি। দলীয় দৃষ্টিকোন থেকেই নির্বাচন কমিশনকে গঠন করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, অনেকের মনে থাকার কথা তখন আমরা প্রেসিডেন্টের কাছে নির্বাচন কমিশন গঠনের একটা প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সঙ্গতকারণেই যেহেতু তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে, প্রেসিডেন্টও সেদিন সেটার প্রতি গুরুত্বারোপ করেনি।

সংগঠনের সভাপতি শওকত মাহমুদ ও সদস্য সচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির হাবিবুর রহমান হাবিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি প্রফেসর আফম ইউসুফ হায়দার, এবিএম বোরহানউদ্দিন, এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, একেএম আমিনুল হক, সাংবাদিক এম এ আজিজ, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কাদের গনি চৌধুরী। আলোচনায় শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবীসহ বিভিন্ন পেশার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন