১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আমলকি চাষে সফল আব্দুল হাই শেখ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:৫১ অপরাহ্ণ, ০১ নভেম্বর ২০১৮

অনাবাদী জমিতে আমলকি চাষ করে সফল হওয়া যায়। আর সেটাই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইনিয়নের মূলগ্রামের আব্দুল হাই শেখ। বাড়ির আঙিনায় বা পতিত জমিতে আমলকি চাষ করে সফল হওয়া যায় বলে জানালেন তিনি। সুযোগ পেলে এ চাষ এলাকায় বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হতে পারে।

জানা যায়, দক্ষিণ বঙ্গের সমতল ভূমিতে আমলকি চাষ অবাক হওয়ার মতোই। রসালো এই ফল ছিল এ অঞ্চলের মানুষের কাছে দুর্লভ। এ অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন আব্দুল হাই। আমলকি চাষ করে সফল চাষিদের মধ্যে তিনি একজন।

আব্দুল হাই জানান- এ জেলার আমলকি গাছ ৮-১৮ মিটার উঁচু হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় সব অঞ্চলে এরকমই দেখা যায়। আমলকি গাছে প্রায় ৪ বছর ফল দেয়। আগস্ট-নভেম্বর পর্যন্ত এ ফল পাওয়া যায়। বীজ দিয়ে আমলকির বংশবিস্তার করে বাগান গড়ে তোলা যায়। বর্ষাকালে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়।

তিনি জানান- চাষিরা ফলটি আগের চেয়ে অনেক বেশি চাষ করছেন। প্রতিবছর এ সময়ে জেলায় আমলকি বেচাকেনা বেশি হয়ে থাকে। এ জেলার আমলকি ঢাকার ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়ে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে। এছাড়া জেলায় বাম্পার ফলনে সবাই আগ্রহী হয়েছে। জেলার কৃষি বিভাগ থেকে শুরু করে কৃষক ও বৃক্ষপ্রেমী লোকজন তার বাগান দেখে মুগ্ধ।

আমলকি চাষ সম্পর্কে আব্দুল হাই শেখ জানান, প্রথমে ১০০টি চারা রোপণ করেন তিনি। সাড়ে ৪ বছর পর তার বাগান থেকে ২৫ মণ আমলকি উৎপাদন হয়। যার বাজার মূল্য ছিল ২৬ হাজার টাকা। এ বছরও অনেক বেশি বিক্রির আশা করছেন তিনি।

স্থানীয় চাষিরা জানান, এ ফল বিভিন্ন দেশে রফতানি করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলে এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি একটি সুসংবাদ হতে পারে। যদিও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ফল চাষে উদ্যোগী হলে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর বলেন- ‘জেলায় কম করে হলেও প্রতিটি বাড়িতে ২-৩টি করে আমলকি গাছ দেখা যায়। এখন অনেক পরিবার বাণিজ্যিকভাবে আমলকি চাষ করায় এ বছর আবাদ হয়েছে ৪৪ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৭৩ মেট্রিক টন। গত বছর থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে। যা হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ৮.৪৭ মেট্রিক টন।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন