বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৮:০০ অপরাহ্ণ, ২৫ জানুয়ারি ২০২১
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আমানগতগঞ্জ সাত্তার মিয়ারগলি এলাকার প্রতিবেশীর জমিতে জোরপুর্বক সীমানা প্রাচীর দিয়ে নিজেদের দাবি করেছেন সরকারি চাকরিজীবী কামরুল আলম কামাল নামের এক ব্যক্তি। কোনো প্রকার মাপজোক ছাড়াই তিনি প্রভাব খাটিয়ে কয়েকদিন ধরে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মৃত নুরজাহান বেগমের জমিতে প্রাচীর নির্মাণ করছেন। এতে বাঁধা দিতে গিয়ে তাদের হুমকি-ধামকির শিকার হচ্ছেন নুরজাহানের সন্তানেরা। এই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে গত শনিবার কোতয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নম্বর ১২০৩) করাসহ সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করেন নুরজাহানের মেয়ে সুলতানা বেগম মনির ছেলে অলি আহাদ। কিন্তু তারপরেও ক্ষমতার জোরে প্রাচীর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখছেন মৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে কামরুল আলম কামাল এবং ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম স্বপনসহ বেশ কয়েকজন।
অলি আহাদ জানান, আমানতগঞ্জ মৌজার ১০২৬ নম্বরসহ সর্বমোট ৬টি দাগে থাকা পৌনে ৯ শতাংশ জমিতে তারা বসবাস করে আসছিলেন। সম্প্রতি এই জমিত উত্তর পার্শ্বের কিছু অংশ প্রতিবেশী কামরুল আলম কামাল এবং ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম নিজেদের দাবি করেন এবং সেখানে সীমানা প্রাচীর দিয়ে নিজেদের আয়ত্বে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে। জমিতে কোনো প্রকার মাপজোক ছাড়া প্রাচীর নির্মাণের প্রতিবাদ করলে অলি আহাদের ওপর চড়াও হয় কামরুল আলম কামাল এবং ছোট ভাই রফিকুল ইসলামসহ বোনেরা। এমনকি জমি নিজেদের দাবি করায় তাকে নানান ভয়ভীতিও দেখানোসহ মুখ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়।
সাধারণ ডায়েরিতে যুবক বয়সি অলি উল্লেখ করেন- উপায়ন্ত না পেয়ে সর্বশেষ তিনি থানা পুলিশের কাছে যেতে এবং সিটি কর্পোরেশনকে বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ দিতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু এরপরেও জমিতে প্রাচীর নির্মাণসহ তাকেসহ পুরো পরিবারকে কামরুল আলম কামাল এবং ছোট ভাই রফিকুল ইসলামসহ অন্যরা হুমকি-ধামকির ওপর রাখছে।
এদিকে জানা গেছে, যুবকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও জমিতে প্রাচীর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। এর আগে অলি কোতয়ালি মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরিটি করেছিলেন গত শনিবার।
থানা পুলিশ জানায়, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। এর পরেও যদি কেউ নির্মাণ কাজ চালায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রাচীর নির্মাণে জড়িত কামরুল আলম কামাল এবং ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অলি আহাদ জানান, বিষয়টি সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করার পরে তারা দেখভালের কথা জানিয়েছে। এবং প্রয়োজন বোধে মাপজোক করে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে। কিন্তু এরপরেও দ্রুতগতিতে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পড়শীরা।’