বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. আশীষ কুমার চক্রবর্তী। এর আগে শুক্রবার দিবাগত রাত থেকেই কিংবদন্তী এই সুরকারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত শনিবার ভোরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারও আগে টানা ৩ মাস থাইল্যান্ডে ক্যানসারের চিকিৎসা শেষে চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশে ফেরেন আলাউদ্দিন আলী। এরপর থেকে কিছুটা স্থিতিশীলই ছিলো তার শারীরিক অবস্থা।
আলাউদ্দিন আলী ১৯৫২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী থানার বাঁশবাড়ী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম জাবেদ আলী ও মাতার নাম জোহরা খাতুন। আলাউদ্দিন তার পিতা ওস্তাদ জাবেদ আলী ও ছোট চাচা সাদেক আলীর কাছে প্রথম সঙ্গীতে শিক্ষা নেন।
১৯৬৮ সালে তিনি যন্ত্রশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আসেন এবং আলতাফ মাহমুদের সহযোগী হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি প্রখ্যাত সুরকার আনোয়ার পারভেজসহ বিভিন্ন সুরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭৫ সালে সঙ্গীত পরিচালনা করে বেশ প্রশংসিত হন আলাউদ্দিন আলী।
তিনি গোলাপী এখন ট্রেনে, সুন্দরী, কসাই এবং যোগাযোগ চলচ্চিত্রের জন্য ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরআগে ১৯৮৫ সালে তিনি শ্রেষ্ঠ গীতিকার হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
আলাউদ্দিন আলীর উল্লেখযোগ্য কিছু গানের মধ্যে রয়েছে- বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না, যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে, এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়, শত জনমের স্বপ্ন তুমি আমার জীবনে এলে, কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না, জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো, হায়রে কপাল মন্দ চোখ থাকিতে অন্ধ, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ, ভালোবাসা যতো বড়ো জীবন তত বড় নয়, হয় যদি বদনাম হোক আরো, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, সূর্যোদয়ে তুমি সূর্যাস্তেও তুমি ও আমার বাংলাদেশ।
আলাউদ্দিন আলী সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে সাতবার এবং গীতিকার হিসেবে একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি খ্যাতিমান পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত পদ্মা নদীর মাঝি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন।
বিনোদনের খবর