২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আসামির অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি, পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৪৪ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯

মেহেরপুরে আসামি ধরতে গিয়ে না পেয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) লস্কর লাজুল ইসলাম জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার পৌর এলাকার দীঘিরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার বেলা দুইটার দিকে মেহেরপুরের আমলি আদালতে এসআই লস্করের বিরুদ্ধে মামলা করেন মারধরের শিকার মারিয়া খাতুন। ইজিবাইক ভাঙচুরের অভিযোগে করা মামলার পুলিশ তার স্বামী মেহেদি হাসানকে ধরতে গিয়েছিল।

মেহেদির পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার মেহেদিকে ধরতে মেহেরপুর সদর থানার এসআই লস্করসহ তিন পুলিশ সদস্য দীঘিরপাড়া এলাকায় যান। তাকে বাড়িতে না পেয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মারিয়ার পেটে লাথি ও তাকে মারধর এবং ঘরের আসবাব ভাংচুর করেন এসআই। পরে ওই বাড়িতে থাকা একটি মোটরসাইকেল নিয়ে চলে যান তিনি। লস্কর চলে যাওয়ার পর মারিয়াকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশীরা।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে হাসপাতালে কথা হয় মেহেদির স্ত্রী মারিয়া খাতুনের সঙ্গে। তিনি জানান, তার স্বামীকে না পেয়ে এসআই লস্কর তাদের বাড়িতে থাকা মোটরসাইকেলের চাবি চান। তিনি দিতে না চাইলে লস্কর তার পেটে লাথি মেরে ফেলে দেন। মারধরও করেন। পরে অন্য পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ঘরের ভেতর ভাংচুর করেন তিনি। চলে যাওয়ার আগে তাকে হুমকি দেন তিনি। মেহেদিকে থানায় গিয়ে টাকা দিয়ে মোটরসাইকেল ফেরত নিয়ে আসেতে বলেন এসআই  লস্কর।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে মেহেদির সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান- পৌর শহরের সোহেল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির ইজিবাইক ভাঙচুরের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা আছে। পুলিশ তাকে ধরতে গিয়ে বাড়িতে ভাংচুর করেছে। তার স্ত্রীকেও মারধর করেছে। পুলিশের ভয়ে তাদের পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

আজ বুধবার দুপুর দুইটার দিকে মেহেরপুরের আমলি আদালতে এসআই লস্করের বিরুদ্ধে মামলা করেন মারিয়া খাতুন। এ ব্যাপারে এসআই লস্কর লাজুল ইসলাম জিয়ার ভাষ্য, মেহেদিকে না পেয়ে তার মোটরসাইকেল থানায় নিয়ে যান, যাতে তিনি থানায় আসেন। তবে তার বিরুদ্ধে ভাংচুরের যে অভিযোগ উঠেছে তা বানোয়াট। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ সাজানো হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান- মেহেদির বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। যে এসআইকে পাঠনো হয়েছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। একটি মামলাও করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিষয়টি পুলিশ সুপার তদন্ত করবেন।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন- এসআই লস্করের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলামকে একটি তদন্ত কমিটির প্রধান করে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন