১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আড়াই বছর ঘুরেও ৩ হাজার টাকার চেক ভাঙাতে পারেননি সত্তরোর্ধ্ব নুরুল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৫৬ অপরাহ্ণ, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধ নুরুল ইসলাম স্থানীয় সমাজসেবা অফিস ও ব্যাংকে আড়াই বছর ঘুরেও তার চেক ভাঙাতে পারেননি। এর কারণ জানতে চাইলে তার সঙ্গে সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ করেন।

১১০৭৫ হিসাব নম্বরধারী নুরুল ইসলাম জানান, তিনি ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট এবং ২০১৯ সালের ১০ এপ্রিল ইস্যুকৃত শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে বয়স্কভাতার দুটি চেক পান। এ সময় তার ওই চেকের টাকা তুলতে সাতবার সমাজসেবা অফিস আর স্থানীয় সোনালী ব্যাংকে যোগাযোগ করেও টাকা তুলতে পারেননি। ব্যাংকে গেলে কর্মকর্তারা বলেন, সমাজসেবা অফিসের তালিকায় তার পাস বইয়ের তথ্যের গরমিল থাকায় তাকে টাকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সমাজসেবা অফিসে ওই তথ্য ঠিক করে দিতে বললে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।

অপর সরকারি সুবিধাভোগী স্থানীয় আমেনা বেগম বলেন, ‘আমি নিয়মিত ভাতার টাকা পেতাম। কিন্তু গত বছর থেকে সমাজসেবা অফিসের দেয়া পাস বইয়ের সঙ্গে ব্যাংকে পাঠানো তালিকায় লেখা তার স্বামী আর পিতার নামের তথ্যে গরমিল রয়েছে। ফলে ব্যাংকে গেলেও টাকা তুলতে পারছি না।

এ রকম নানা সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার মোন্তাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, ওই অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে প্রচণ্ড গাফিলতি রয়েছে। তারা ঠিকমতো অফিস করেন না। প্রতিনিয়তই নানা রকমের ভুল হচ্ছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে আমাদের।

রোববার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা অফিসে সরেজমিনে দেখা গেছে, নানা সমস্যার কারণে অর্ধশত বৃদ্ধ-বৃদ্ধা হইচই করছেন, ভিড় করছেন। স্থানীয় কেওয়া (পূর্ব) এলাকার রমিজাসহ দূর-দূরান্ত থেকে বয়স্ক ব্যক্তিরা সকালে গিয়ে তাদের সমস্যা সমাধানের কথা বললে তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। কাউকে কাউকে জোর করে অফিস থেকে বের করে দিচ্ছে ওই অফিসে কর্মরত সমাজকর্মী আমিনুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন। এ সময় শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাও অফিসে ছিলেন না।বয়স্ক লোকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করে সমাজকর্মী নাসির উদ্দিন বলেন, অফিসের কাগজপত্রে (তালিকার) বয়স্কদের তথ্য চিহ্নিত করা হচ্ছে। ওইসব সমস্যা দ্রুত সমাধান করা হবে।

কিন্তু দু-তিন বছর আগের ত্রুটিও ঠিক না হওয়ার বিষয় জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এসএম আনোয়ারুল করিম বলেন, শ্রীপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরুল ইসলাম রোববার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সোমবার আমি নিজে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করব এবং কারও গাফিলতি থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন