১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সিসিভিটি স্থাপন নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:২৯ অপরাহ্ণ, ২৯ মে ২০২২

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সিসিভিটি স্থাপন নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ

মো. জসিম উদ্দিন, বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে অপরাধ প্রবনতা কমানোর লক্ষে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সরকারি বরাদ্দে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। অথচ সেই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য কালিশুরী বন্দরের সাত শতাধিক দোকান থেকে বিভিন্ন হারে বিপুল পরিমান টাকা আদায় করা হচ্ছে।

কালিশুরী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, কালিশুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কালিশুরী বাজার কমিটির সভাপতি মো. নেছার উদ্দিন সিকদার ওরফে জামাল সিকদারের নির্দেশে ওই টাকা উত্তোলণ করা হচ্ছে বলে একাধিক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানের মালিক অভিযোগ রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অপরাধ প্রবণতা কমানোর লক্ষ্যে টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের বরাদ্দ দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী সিসি ক্যামেরা ক্রয়েরও প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

কালিশুরী ইউনিয়নের কালিশুরী বাজারও ওই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আওতাভুক্ত। ওই বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রায় সাত শতাধিক দোকান।

ওই বাজারের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারিভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা জেনেছি। এরপরেও চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিন তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে তিনটি কমিটি করে সিসি ক্যামেরা বসানোর কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দুইশ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টাকা আদায় কমিটির এক সদস্য বলেন,তিনটি ভাগে ভাগ করে চার সদস্য বিশিষ্ট তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি যে কমিটির সদস্য সেই কমিটি ৭০ হাজার ৪০০ টাকা তুলেছেন এবং ওই টাকা চেয়ারম্যান নেছার উদ্দিনের কাছে জমা দিয়েছেন। তিনি নিজেও এক হাজার টাকা দিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দোকানি বলেন, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের টাকা আদায় করেছেন। তিনিও এক হাজার টাকা দিয়েছেন।

কালিশুরী ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নেছার উদ্দিন বলেন,‘সিসি ক্যামেরা ক্রয়ের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলনের বিষয়টি তাঁর জানা নাই। তবে সরকারিভাবে সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।’

বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ‘যেখানে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে, সেখানে ব্যবসায়ীদের কাছ সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নাই। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন