২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ইন্দুরকানীর ১০ কমিউনিটি ক্লিনিকে তিন সপ্তাহ ধরে ওষুধ নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:০৯ অপরাহ্ণ, ১৯ অক্টোবর ২০১৮

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ১০ কমিউনিটি ক্লিনিকে গত তিন সপ্তাহ ধরে ওষুধ নেই। এতে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে রোগীরা। প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন শ্রেণির রোগীরা সেবা পেয়ে থাকে। তবে গ্রামের বেশিরভাগ হতদরিদ্র রোগীরাই এখান থেকে সেবা গ্রহণ করেন।

প্রতিটি ক্লিনিক থেকে মাসে ৬০০ থেকে ৯০০ রোগী সেবা গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু ওষুধ না থাকায় রোগীদের শুধু স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছেন সিএইচসিপিরা। এ জন্য এসব ক্লিনিকে চলতি মাসের শুরু থেকে রোগীর সংখ্যাও কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ উপজেলার ১২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে জোমাদ্দার হাট কমিউনিটি ক্লিনিক, পত্তাশী কমিউনিটি ক্লিনিক, খোলপটুয়া কমিউনিটি ক্লিনিক, মধ্য বালিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক, দড়িচর গাজীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, ভবানীপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, উমেদপুর কমিউনিটি ক্লিনিক, বাড়ৈখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, কালাইয়া কমিউনিটি ক্লিনিক ও চাড়াখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে ওষুধ সংকট রয়েছে। ক্লিনিকে ওষুধ না থাকায় সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন ক্লিনিক ঘুরে দেখা যায়, ইন্দুরকানী উপজেলার লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের জন্য ১০ বছর আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মিত হলেও এখন পর্যন্ত ইনডোর সেবা চালু হয়নি। এ কারণে এ উপজেলার দরিদ্র জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসা কমিউনিটি ক্লিনিক। এখন থেকেই তারা প্রতিদিন বিভিন্ন রোগের ২৭ আইটেম ওষুধ বিনামূল্যে পেয়ে থাকেন। কিন্তু গত মাসের শেষের দিক থেকে বিভিন্ন ক্লিনিকে ওষুধ সংকট দেখা দেয়। ক্লিনিকে ওষুধ না পাওয়ার কারণে খালি হাতে রোগীরা ফিরে আসছে বাড়িতে।

মধ্য বালিপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে ফিরে আসা রহিমা বেগম বলেন, আমার এবং বাচ্চার চার দিন ধরে জ্বর ও সর্দি কাশি। ক্লিনিকে ওষুধ নেওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু এখানকার স্বাস্থ্যকর্মীরা বলল ক্লিনিকে ওষুধ নেই। তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’

সিএইচসিপি প্রবীর মৃধা, মিতু রানী ও মাসুদ রানা বলেন, ‘ক্লিনিকে অনেক দিন ধরে ওষুধ নেই। ২৭ আইটেমের মধ্যে ৫-৬ ধরনের ওষধ আছে। তা দিয়ে সব ধরনের চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাই আমরা এখন ক্লিনিকে বসে রোগীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছি।’

এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার ঘোষ বলেন, চলতি বছরের জুনের পর থেকে ওষুধ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওষুধের চাহিদা অনুযায়ী তালিকা পাঠানো হয়েছে। সরবরাহ না থাকার কারণে আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকে ওষুধ সরবরাহ করতে পারছি না।

উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেন, ইন্দুরকানী লক্ষাধিক লোকের স্বাস্থ্যসেবার প্রাণকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির ইনডোর সেবা ১০ বছর পর চালুর অনুমতি পাওয়ার পর ও খাবার পানি অভাবে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চালু হয়নি। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে রোগীরা বিভিন্ন প্রকার ওষুধ আনতে যান। সেখানেও এখন ওষুধ সংকট।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন