২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ইভিএম বাইরে রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:৪১ অপরাহ্ণ, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় ইভিএম বাইরে রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে। আজ রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলেকজান্ডার পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: যুগান্তর।

এদিকে রামগতি পৌরসভায় নৌকায় ভোট দেওয়া বাধ্যতামূলক, এজেন্টদের মারধর ও কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগে ধানের শীষের প্রার্থী সাহেদ আলী পটু ও লাঙলের প্রার্থী আলমগীর হোসেন ভোট বর্জন করেছেন।

রোববার বেলা ১১টার দিকে তারা সাংবাদিকদের এসব অভিযোগ করেছেন।

সরেজমিন ওই কেন্দ্রের নারী ও পুরুষ বুথে ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা কামাল হোসেনসহ প্রত্যেকটি বুথে একই রকমভাবে নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের ভাষ্য তারা দেখেননি।

ইভিএম নিয়ে বসে থাকা আওয়ামী লীগ নেতারা নিজেদের নৌকা প্রতীকের এজেন্ট দাবি করেছেন। তবে একটি বুথেই নৌকার তিন থেকে চারজন করে এজেন্ট দেখা গেছে।

এদিকে একটি বুথেও ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্ট দেখা যায়নি। তারা আসছেন কিনা তাও বলতে পারছে না সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার মো. ইউসুফ ও আবদুর রাজ্জাক।

হাতপাখার মেয়রপ্রার্থী আবদুর রহিম বলেন, ইভিএম কালো পর্দার ভেতরে থাকার কথা থাকলে এখন বাইরে। আওয়ামী লীগের নেতারা প্রভাব খাটিয়ে বাইরে ইভিএম রেখে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করছে। এ নিয়ে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার নীরব ভূমিকা পালন করছেন।

তবে প্রিসাইডিং অফিসার মো. আহসান জানান, বুথের কালো পর্দার ভেতরে ইভিএম থাকবে। ভোটাররা গোপনে ভোট দেবেন। বাইরে ইভিএম রেখে ভোট দেওয়ার বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। এ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী আলমগীর হোসেন বলেন, আমার এজেন্টদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মারধর করা হয়েছে। নৌকায় ভোট দিতে আ.লীগের নেতারা ভোটারদের বাধ্য করছে। এ নির্বাচনে থাকার প্রয়োজন নেই। আমি ভোট বর্জন করেছি।

বিএনপির প্রার্থী সাহেদ আলী বলেন, ইভিএম আওয়ামী লীগ নেতাদের দখলে। তারা ভোটারদের নৌকায় ভোট দিতে বাধ্য করছেন। প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং না দেখার ভান করছেন। আমি এ জন্য ভোট বর্জন করেছি।

রামগতি পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী হেকমত আলী বলেন, ভোট বর্জনের বিষয়টি আমি জানি না। কালো পর্দার বাইরে ইভিএম থাকার কথা নয়। কোথাও ছিল কিনা তা কেউ আমাকে জানাননি। যিনি নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, এ প্রথম লক্ষ্মীপুরে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে। রামগতি পৌরসভায় ২০ হাজার ৯০৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন।

এখানে নৌকা প্রতীকে বর্তমান মেয়র মেজবাহ উদ্দিন মেজু ও ধানের শীষে রামগতি পৌর বিএনপির সভাপতি সাহেদ আলো পটুসহ ছয়জন মেয়রপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৯ ওয়ার্ডের ১০ কেন্দ্রে ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তায় রয়েছেন।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন