২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

উজিরপুরে নব্য ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলায় রক্তাক্ত যুবলীগ নেতা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৯ অপরাহ্ণ, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

বরিশালের উজিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের দুই নেতাকর্মী গুরুত্বর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের ডহরপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ওই এলাকায় এখনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মিজানের ছোট ভাই ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত হোসেনের সাথে ওই ইউনিয়নের নব্য ছাত্রলীগ নেতা সজীব হাওলাদারের বিরোধ চলে আসছিলো।

এ ধারাবাহিকতায় শুক্রবার দুপুরে গুঠিয়ার ডহরপাড়া গ্রামে নব্য ছাত্রলীগ নেতা সজীবকে একা পেয়ে পিটিয়ে আহত করে ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাত। খবর পেয়ে আহত সজীবের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে। এর কিছুক্ষন পরে মারধরে আহত সজীবের পক্ষ হয়ে ৯০ দশকের ডার্কসাইডের দাপুটে সর্বহারা ও নব্য আওয়ামী লীগ নেতা আতাহার আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল স্বসস্ত্র সন্ত্রাসীরা ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাতের বাড়ী ঘেরাও করে।

কিন্তু সেখানে এলাকাবাসীর তোঁপের মুখে কিছু করতে না পারায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রলীগ নেতা শাহাদাতের মামা গুঠিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোস্তফা কামাল সানাই’র বসতঘরে হামলা চালায়।

হামলার এক পর্যায়ে যুবলীগ নেতা সানাইকে তার বসতঘর থেকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে প্রকাশ্যে মারধর করে ওই সর্বহারা আতাহার বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। হামলার পরে স্থানীয়রা আহত যুবলীগ নেতা সানাইকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় রাতেই পুলিশ গুঠিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে নব্য ছাত্রলীগ নেতা সজীব গ্রুপের আসিফ সরদার (২৪) ও বেল্লাল হাওলাদার (২৫) সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করলেও তাদেরকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে আহতর স্বজনরা।

এ বিষয়ে গুঠিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মিজানুর রহমানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার মামা আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাই এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।

উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছিলো। কিন্ত কোনো পক্ষ থানায় মামলা করতে রাজি না হওয়ায় তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা স্থানীয়ভাবে মিমাংসা হয়ে যাবেন।

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন