১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

উজিরপুরে সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে স্কুল-সাইক্লোন শেল্টার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১০ পূর্বাহ্ণ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

জহির খান উজিরপুর:: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত ভাঙনে গুঠিয়া ইউনিয়নের চরমলঙ্গা থেকে আশোয়ার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার নদী ভাঙনে নি:স্ব হয়ে গেছে কয়েক শতাধিক পরিবার। ভাঙন আতঙ্কে রাতে জেগে থাকেন এসব পরিবারের সদস্যরা।

সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত এ ভাঙনের হুমকিতে পরেছে এবার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আশোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টার। ইতোমধ্যে সাইক্লোন শেল্টারের একাংশের মাটি সরে গিয়ে পিলার বের হয়ে গেছে। যে কোন সময় পুরো বিদ্যালয়টি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এতে আতঙ্কিত হয়ে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গত কয়েক মাসের নদী ভাঙনে উজিরপুরের মানচিত্র থেকে হারিয়ে গেছে গুঠিয়া ইউনিয়নের রৈভদ্রাদী, দাসেরহাট, হানুয়া, আশোয়ার ও বান্নাসহ নদী লাগোয়া বেশ কয়েকটি গ্রাম। এসব এলাকার শত বছরের পুরাতন ভিটাবাড়ি, ভেড়ীবাধ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, শত শত একর ফসলী জমি ও পানবরজ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে । এতে ভিটেমাটি হাড়িয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।

স্থানীয়দের অভিযোগ- সম্প্রতি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ভাঙন কবলিত এলাকা দাসেরহাট, কমলাপুর, আশোয়ার, চথলবাড়ি ও চৌধুরীর হাটসহ সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ বালু কাটা ড্রেজার বসিয়ে দিন-রাত সমানে বালু উত্তোলণ করছে। এতে নদীর ভাঙন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের জানিয়ে কোনো সু-ফল পাচ্ছেন না তাঁরা। সন্ধ্যা নদীর অব্যাহত এ ভাঙন রোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নদী পারের ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকার বাসিন্দারা।

তবে ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুমা আক্তার জানান, নদী ভাঙনের বিষয়টি ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি ভাঙন কবলিত আশোয়ার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কাম সাইক্লোন শেল্টারটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ইউএনও আরও জানিয়েছেন, শীঘ্রই নদী কেঁটে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের সমন্বয়ে ভাঙন এলাকায় বাঁধ দিয়ে সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন