বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ০৫:২৮ অপরাহ্ণ, ০২ জানুয়ারি ২০১৯
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আজ বুধবার (০২ জানুয়ারি) রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাবর রোডের নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন- ‘৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা যে নির্লজ্জ ভোট ডাকাতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা এ জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে।’
এ সময় ২০১৪ সালের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন- ‘আপনারা জানেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছিল। ফলে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং অন্যরাও খুবই নগণ্য ভোটে গত সংসদ, যা ছিলো ন্যায় ও সত্যের বিচারে অবৈধ।’
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন- ‘তারপরও নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার স্বার্থে আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু সমস্ত আইনকানুন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলা ও পুলিশি হয়রানী করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সব রকমের অপচেষ্টা করা হলেও নির্বাচনী মাঠে থাকার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। পদে পদে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে আমাদের কর্মী সমর্থকেরা মাটি কামড়ে নির্বাচনী মাঠে থাকার চেষ্টা করেছে।’
ভোটের পরিস্থিতি উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন- ‘ভোটের আগের রাতে সকল কেন্দ্রে সরকার দলীয় কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলেমিশে প্রতি কেন্দ্রে অর্ধেক ভোট কোনো কোনো কেন্দ্রে তার চেয়েও বেশি নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রাখে। যে কারণে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ায় বেলা ১০ থেকে ১১টার পর কোনো ভোটার ভোট দিতে পারেনি।’
অন্যদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারী দলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করে। সবকিছু মিলিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটের মৃত্যু ঘটায়, যা কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সংগঠিত হওয়া অসম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
তাই দেশের ও মানুষের স্বার্থে ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতিও আহ্বান জানান কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।’