২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

‘একজন শিক্ষককে ৩ স্তরে ঘুষ দিয়ে এমপিওভুক্ত হতে হয়’

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন::: শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইন এমপিওভুক্তির আবেদন আঞ্চলিক কলেজ পরিচালকদের নিষ্পত্তির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে আঞ্চলিক উপপরিচালকদের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব কমলো। এতোদিন আঞ্চলিক উপপরিচালকরা স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন নিষ্পত্তি করে ইএমআইএস সেলে পাঠাতেন।

সম্প্রতি এমপিও আবেদন নিষ্পত্তির দায়িত্ব এভাবেই সুনির্দিষ্ট করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে পরিপত্র জারি করা হয়।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও অনলাইনে বিতরণের বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। এ পরিপত্রে বলা ছিল, সকল শিক্ষা অঞ্চলের উপপরিচালক বা অঞ্চল প্রধান বিধি-বিধান অনুসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

এ আদেশ জারির পর আঞ্চলিক উপপরিচালকরাই একচ্ছত্রভাবে শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করতেন। এ বিষয়টি নিয়ে ছিল নানা প্রশ্ন। তাই, ফের পরিপত্র জারি করে সুনির্দিষ্টভাবে মাধ্যমিক পর্যায়ে উপপরিচালক ও কলেজ পর্যায়ে পরিচালকদের এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়, এমপিও বিতরণের বিষয়ে জারি করা পরিপত্রে ‘সকল শিক্ষা অঞ্চলের উপপরিচালক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও আবেদন নিষ্পত্তি করবেন’ বিষয়টি সুনির্দিষ্ট ছিলো না। নতুন পরিপত্র জারির তারিখ থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের মাধ্যমিক পর্যায়ের উপপরিচালক ও কলেজ পর্যায়ে পরিচালকরা এমপিও কার্যক্রম সম্পাদন করবেন। বিষয়টি সংশোধন করে সুনির্দিষ্ট করা হলো।

এদিকে শিক্ষক-কর্মচারীরা গণমাধ্যমকে জানান, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির কাজ আগে রাজধানীর শিক্ষা ভবন হিসেবে পরিচিত মাউশিতে নিষ্পত্তি করা হতো। শিক্ষকদের যেন সময় কষ্ট করে ঢাকায় আসতে না হয়, সেজন্য ২০১৫ সালের ৬ এপ্রিল থেকে সারাদেশে অনলাইনে এমপিওভুক্তি কার্যক্রম শুরু করে মাউশি। একই বছরে এমপিও সারাদেশের মাউশির ৯টি আঞ্চলিক অফিসে এই কাজ বিকেন্দ্রীয়করণ করা হয়। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।

অভিযোগ, এখন ঘুষের টাকা নিয়ে মাউশিতে না এলেও মাঠপর্যায়ে বিতরণ করতে হয়। এতে মাউশির আঞ্চলিক অফিসগুলো ঘুষের রাজত্বে পরিণত হয়েছে। এমপিওভুক্তির জন্য আগে শুধু শিক্ষা ভবনে ঘুষ দিতে হতো। এখন ঘুষ দিতে হচ্ছে ঘাটে-ঘাটে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, জেলা শিক্ষা অফিস ও আঞ্চলিক উপপরিচালকের কার্যালয়ে, এই তিন স্তরে ঘুষ দিয়ে এখন একজন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত হতে হয়।

অভিযোগ আছে, এমপিওভুক্তির ক্ষমতা পাওয়ার পর মাউশির অনেক আঞ্চলিক উপপরিচালক অবৈধভাবে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক বনে গেছেন। এখন আঞ্চলিক পরিচালকদেরও একই ক্ষমতা দেওয়া হলো। তবে তারা শুধু কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন