২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

একটি হুইল চেয়ারের আকুতি!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৬:৫৫ অপরাহ্ণ, ০২ জুন ২০২০

হাসান পিন্টু, লালমোহন:: মো. কাউসার। বয়স ২৫। ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর এলাকার খলিফা বাড়ির দিনমজুর বাবার সন্তান সে। তবে সংসারে সে যেনো এক বোঝা। মাত্র ১২ বছর বয়সে য²ায় আক্রান্ত হয়ে হারিয়ে ফেলে শারীরিক সক্ষমতা। হয়ে যায় প্রতিবন্ধী। এরপর থেকে লাঠির ওপর ভর করেই চলতে হচ্ছে তাকে। লাঠি ভর করেও ঠিকঠাক চলতে পারে না কাউসার। চলতে গেলে বার বার লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। কথাও বলতে পাড়েন না ভালো করে। প্রতিনিয়তই নিজের সাথে নিজে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন তিনি। এখন সংসারের কাছেও বোঝা হয়ে আছেন কাউসার। কাউসারের বাবা আবুল কালামও একজন দিনমুজর। অন্যের ক্ষেত-খামারে কাজ করে সংসার চালান তিনি। মানুষের কাজ শেষে বাড়ি এসে কাউসারকে পরিচর্যা করতে হয় তার।

সন্তান কাউসারের জন্য একটি হুইল চেয়ারের আকুতি জানিয়ে আবুল কালাম বলেন, খুব ছোট বেলায় কাউসারের মা য²ায় আক্রান্ত হয়ে সংসারে তিন ছেলে রেখে মারা যান। এরপর থেকে তিন সন্তানকে অনেক কষ্ট করে বড় করতে হয়েছে। তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে আমার তিন সন্তানের মধ্যে বড় ছেলে আলমগীর ও মেজ ছেলে এই কাউসার হয়ে যায় প্রতিবন্ধী। ছোট ছেলে ফোরকান ভালো আছে। তবে সে বিয়ে করে এখন ভিন্ন সংসার করছেন। আমাদের কোনো খোঁজ খবর নেয় না। বড় ছেলে আলমগীর ঢাকায় থাকে। সেখানে ভিক্ষা করে সে। তবে মেজ ছেলে কাউসারকে নিয়ে এখন আমার কষ্টের শেষ নেই।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত কাউসারের দেখাশোনা করতে হয় আমাকে। লাঠি ভর করে গিয়ে মানুষের কাছে হাত পাতে। ঠিকঠাক চলতে পারে না কাউসার। কিছুক্ষণ পরপরই মাটিতে পড়ে যায়। মাঝে মাঝে পড়ে গিয়ে প্রচণ্ড আঘাত পায়। অনেক সময় আবার পড়ে গিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণও হয়। এমন অবস্থায় কেউ যদি কাউসারকে একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে আমার এই ছেলেটি একটু ভালোভাবে চলতে পারবে। তাই আমি সমাজের বিত্তবান ও কর্তৃপক্ষের কাছে একটি হুইল চেয়ারের দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন প্রতিবেদককে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনার মাধ্যমেই আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই ব্যক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে শিগগিরই একটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করা হবে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন