২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

এক চিকিৎসক রোগী দেখেন ছয় হাসপাতালে!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:২০ পূর্বাহ্ণ, ০৩ জুন ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: দূরত্ব মাত্র ৫’শ গজ। এর মধ্যে ১০টি ক্লিনিক ও ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার এবং তার পাশে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। চিকিৎসা সেবার নামে এই স্থানে চলছে রোগীদের নানা হয়রানি আর পকেট খালি করার বাণিজ্য।
বগুড়ার শেরপুরে হাসপাতাল সড়কে এই চিত্র। করতোয়া ল্যাব এন্ড হসপিটাল, ভিশন ল্যাব এন্ড হসপিটাল, মডার্ন ক্লিনিক, শাহীন ক্লিনিক এন্ড ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার, লাইফ লাইন, ভিআইপি জেনারেল হাসপাতাল, সততা হসপিটাল এন্ড ডায়াগোনেস্টিক সেন্টার, শাহ সুলতান হসপিটাল এন্ড ডায়াগোনেস্টিক, শেরপুর মডেল ক্লিনিকসহ আরো কয়েকটি ক্লিনিক এই ৫শ গজের মধ্যে অবস্থিত।

ক্লিনিকগুলোর ৮০ ভাগ ডাক্তারই শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। সরকারি হাসপাতাল ছেড়ে রোগী দেখার অভিযোগ অনেক পুরনো। সম্প্রতি যোগ হয়েছে একজন ডাক্তার ৬টি ক্লিনিকে রোগী দেখার ঘটনা। শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মোকছুদা বেগমের বিরুদ্ধে রয়েছে আরো নানান অভিযোগ।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬টি ক্লিনিকে তার নামে রোগী দেখার সাইনবোর্ড। শেরপুর উপজেলার রামেশ্বরপুর গ্রামের নায়েম আহম্মেদ জানান, গত সপ্তাহে তার মা নূরজাহান বেগমকে ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যান ভিআইপি জেনারেল হাসপাতালে। ডা. মোকছুদা বেগম তার মাকে দেখার কথা ছিলো।
ওই ক্লিনিকে ১২টার দিকে গিয়ে কিছু সময় বসার পর না পেয়ে যান সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানেও না পেয়ে ২টার দিকে যান ভিশন ল্যাব এন্ড হসপিটালে। সেখানে গিয়ে তিনি ডাক্তার খুঁজে পান।
রোগী দেখা শেষ না হতেই ডাক আসে অন্য ক্লিনিক থেকে। এরপর ফিরে আবার তার মাকে দেখতে এলে নায়েম তার সেবা নিয়ে কথা বলেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় উক্ত চিকিৎসকের সঙ্গে। এক পর্যায়ে রোগী না দেখেই প্রেসক্রিপশন ছাড়াই রোগীকে ফিরিয়ে দেন ডা. মোকছুদা বেগম।
সোমবার (১ জুন) দুপুরে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডা. মোকছুদা বেগমকে না পেয়ে পাওয়া গেলো করতোয়া ল্যাব এন্ড হসপিটালে। সাংবাদিকদের দেখে ওই ক্লিনিক থেকে তিনি ভিআইপি জেনারেল হাসপাতালে চলে যান।
সেখানে দীর্ঘ সময় সাংবাদিকদের অপেক্ষায় রেখে এরপর সামনে আসেন ডা. মোকছুদা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, সাইনবোর্ডে নাম লাগানো থাকলেও সব স্থানে তিনি রোগী দেখেন না। একইসঙ্গে রোগীর সঙ্গে সে দিনের এমন আচরণ দুঃখজনক হিসেবে মন্তব্য করেন। অতিরিক্ত চাপ এবং জরুরি রোগী আগে দেখার জন্য এমন হয়েছে বলে জানান তিনি।
তবে এ সময় রোগীদের অযথা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দেয়া এবং অন্যান্য রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেন তিনি।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন