২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

এক স্কুলেই পড়ছে ১০ জোড়া যমজ ভাইবোন!

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, ২৫ মার্চ ২০২৩

এক স্কুলেই পড়ছে ১০ জোড়া যমজ ভাইবোন!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে একসঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন ১০ জোড়া যমজ ভাই বোন। যমজ ভাই বোনদের চেহারায় মিল থাকায় তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের সঙ্গে কাটানো সময়টা বেশ উপভোগ করেন বলে জানান বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা।

আর দুজন একসঙ্গে বেড়ে ওঠাকে এবং তাদের মতো আরও যমজ ভাই বোনদের একই স্কুলে পড়ার বিষয়টিকে বেশ গর্বের সঙ্গেই দেখছেন যমজ ভাই বোনেরা। বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ- সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণিতে পড়াশোনা করেন আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা- চঞ্চল রাহা। তারা যমজ ভাই বোন।

ষষ্ঠ শ্রেণির যমজ দুই ভাই সান ও মুন বলেন, আমরা দুই ভাই প্রায় সব কাজ একসঙ্গে করি। তবে আমাদের খাওয়া দাওয়ার পছন্দ এক হলেও দুজনের দুই রং পছন্দ। একজনের লাল, আরেকজনের নীল। আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই। শুধু পোশাক না আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব এক রকম।

এসব আমাদের খুব ভালো লাগে। তবে আমরা কে কোনটা তা অনেকে চিনতে পারেন না। আমরা এ বিষয়টাকে আরও বেশি উপভোগ করি। সপ্তম শ্রেণির যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া। তারা বলেন, ক্লাসের সময় আমাদের একজনকে বকা দিলে আরেকজনের খুব খারাপ লাগে। স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের চিনতে পারে না বেশিরভাগ সময়।

তখন একসঙ্গে দুজনকে ডাকলে আমাদের খুব ভালো লাগে। এ ছাড়াও সুমাইয়া-সাদিয়া, হাবিব-হাফিজ, তাহবি-তাসবি, হাসি-খুশিসহ অন্য যমজ ছাত্র ছাত্রীরাও প্রায় একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন।বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, যমজ বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করি। তারা যখন পাশাপাশি বসে তখন তাদের দেখতেও ভালো লাগে। তারা যাতে ভালো কিছু করে সেই বিষয়ে আমরা তাদের উৎসাহী দিই।

মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ জন যমজ ভাই বোন পড়াশোনা করেন।  তাদের নামগুলো প্রায় একই রকম ও চেহারার মিলও দেখা যায়। সে কারণে কোনটা কে সেটা বুঝতে মাঝে মাঝে বিড়ম্বনায় পরতে হয়।

তবুও আমরা যমজ বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি তাদের মেধাও প্রায় সমান হয়। একজনের শ্রেণির রোল নম্বর দুই হলে অপরজনের তিন হয়। তাদের আচার আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদ একই রকম। তারা একসঙ্গে থাকতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমার আশা করছি তারা সবাই ভালো কিছু করবে।

14 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন