২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

এন্টার্কটিকায় হিমবাহে বিশাল ফাটল!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:০৫ অপরাহ্ণ, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এবার সুবিশাল ফাটলের সন্ধান মিলেছে এন্টার্কটিকার একটি হিমবাহে। ফাটলটির আয়তন কয়েকশ বর্গমাইল আর গভীরতা এক হাজার ফুটেরও বেশি। ভূগর্ভের এত কাছাকাছি এন্টার্কটিকার কোনো বিশাল হিমবাহে এর আগে এত বড় ফাটলের খোঁজ মেলেনি। ‘হেটরোজিনাস রিট্রিট অ্যান্ড আইস মেল্ট অব থোয়েইট্স গ্লেসিয়ার, ওয়েস্ট এন্টার্কটিকা’ শিরোনাম সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স অ্যাডভান্সেস’ এ।

গবেষণাপত্রে বিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, হিমবাহের লাগোয়া মহাসাগরের পানি এই ফাটলের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করে দ্রুত গলিয়ে দিতে পারে গোটা হিমাবাহটিকেই। আর ঐ হিমবাহে যতটা বরফ রয়েছে, তা যদি পুরোপুরি গলে যায়, তাহলে সাগর, মহাসাগরের পানির স্তরের উচ্চতা অন্তত ২ ফুট ৬৫ সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে।

পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা নাসার ‘আইসব্রিজ’ উপগ্রহে বসানো রাডারের পাঠানো ছবিতেই এন্টার্কটিকার হিমবাহের অত গভীরে ফাটলটি ধরা পড়েছে। একই ছবি পাঠিয়েছে কক্ষপথে থাকা ইতালি ও জার্মানির উপগ্রহের রাডারও। আন্তর্জাতিক গবেষক দলে নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী পিয়েত্রো মিলিল্লো ও আরভিনের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এরিক রিগনটের সঙ্গে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যাপক সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভারতীয় এই অধ্যাপক আনন্দবাজারকে জানান, ‘উষ্ণায়নের জন্য দ্রুত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কত তাড়াতাড়ি সমুদ্রের পানির স্তর কতটা উপরে উঠে আসতে পারে তা সঠিকভাবে মাপতে পশ্চিম এন্টার্কটিকার থোয়েইটস হিমবাহের ওপর নজর রাখতে হবে।’

মূল গবেষক এরিক রিগনট বলেছেন, ‘আমরা অবাক হয়ে গিয়েছি, ‘আইসব্রিজ’-এর রাডারে ধরা পড়া ছবি দেখে। ভাবতে পারিনি, ফাটলটা এতটা বড় আর এতটা গভীর হবে। আমরা রীতিমতো উদ্বিগ্ন, কারণ ‘আইসব্রিজ’-এর রাডার জানিয়েছে, খুব দ্রুত হারে গলে যাচ্ছে ওই দৈত্যাকার হিমবাহ-থোয়েইট্স গ্লেসিয়ার। গত তিন বছরে যার ১৪০০ কোটি টন বরফ পুরোপুরি গলে গিয়েছে।’ আগামী বছরের মধ্যেই ওই হিমবাহে নেমে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা (ফিল্ড স্টাডি) চালাবে একটি আন্তর্জাতিক গবেষকদল।-আনন্দবাজার

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন