২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

এলাকায় ঘুরছে ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা, পুলিশ বলছে পলাতক!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:১১ অপরাহ্ণ, ২০ অক্টোবর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ভোলা:: ভোলায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মো. মামুন হাওলাদারের গ্রেপ্তারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ভোলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গত ৫-৬ মাস আগে আমার খালার বাসা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নে বেড়াতে যাওয়ার সুবাদে ওই এলাকার মো. রফিক হাওলাদারের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি মো. মামুন হাওলাদারের সাথে আমার পরিচয় হয়। পরে মামুন হাওলাদার আমার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে আমাকে ফোন করে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় সে আমাকে বিরক্ত করতে থাকে। একপর্যায়ে সে আমাকে বিয়ে করাসহ নানা প্রতিশ্রুতি দেয়। এর পর তার সাথে আমার ফোনে কথা চলতে থাকে।

সর্বশেষ গত ৩০ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে মামুন আমাকে ঘুরতে নিয়ে যায়। এবং সেখান থেকে আমাকে বিবাহ করার কথা বলে তার খালা মোসা. হাফসা বেগমকে দেখাইতে তার বাসায় নিয়ে যায়। হাফসা বেগম আমাদেরকে ঘরের একটি রুমে রেখে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ওই রুমের মধ্যে মামুন আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে আমি মামুনকে বিবাহ করার কথা বললে মামুন বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। এ অবস্থায় গত সেপ্টেম্বর মাসের ২ তারিখে মামুনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করি। কিন্তু মামলার দেড় মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ মামুমকে গ্রেপ্তার করেনি। আমি পুলিশকে আসামী গ্রেপ্তারের কথা বললে পুলিশ বলে আমরা আসামীকে পাইনা। কিন্তু আসামী মামুম প্রায়ই তার এলাকায় অবস্থান করে বলে আমি বিভিন্ন সূত্রে জানতে পারি।

কলেজছাত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি সময়ে নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন যায়গায় ধর্ষণের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী গ্রেপ্তার হলেও আমার মামলাটির বেলায় সম্পূর্ণ উল্টো। আমার মামলার দেড় মাস হয়ে গেলেও পুলিশ কেনো আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি? আমি বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সেই সাথে ধর্ষক মামুন ও তার সহযোগী হাফসা বেগমের গ্রেপ্তারসহ সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কলেজ ছাত্রীর মা জেসমিন, খালা শামসুন নাহার, নানা মো. বজলুর রহমান, চাচা মো. হাসান এবং ফুপাতো ভাই মো. দুলাল।

এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনায়েত হোসেন বরিশালটাইমসকে বলেন, আমরা আসমী মামুনকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা করছি। কিন্তু আসামী ভোলায় না থাকায় তাকে আটক করা যায়নি। তার মোবাইল ট্রেকিং করে তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন