২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

এলেন-গেলেন গেইল

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৪৬ অপরাহ্ণ, ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

বিপিএলে বরাবরই প্রতিপক্ষের জন্য এক আতঙ্কের নাম ক্রিস গেইল। অতীতে মাঠে নামলেই বোলারদের রীতিমতো তুলোধুনো করেছেন তিনি। তবে এবার সেই রুদ্রমূর্তির ক্যারিবীয় দানবকে খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে ভীষণ রানখরায় ভুগছেন। পাওয়ার প্লের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারছেন না। সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখলেন তিনি। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরলেন টি-টোয়েন্টি কিং।

শেষ খবর পর্যন্ত জবাব দিতে নেমে ৩ ওভারে ১ উইকেটে ২৪ রান করেছে রংপুর রাইডার্স। ভরসা হয়ে অ্যালেক্স হেলস ১২ ও রাইলি রুশো ১২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।

নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন সাব্বির রহমান। খেলছিলেন বিপিএলের শুরু থেকেই। তবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না। মাঝে মধ্যে আভাস দিলেও ইনিংসটা বড় হচ্ছিল না। অবশেষে জ্বলে উঠেছিল তার ব্যাট। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন জোগান নিকোলাস পুরান। দুজনে তোলেন রানের ঢেউ। তাতে রংপুরকে ১৯৫ রানের টার্গেট দেয় সিলেট।

শনিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে ডেভিড ওয়ার্নারের সিলেট সিক্সার্স। অবশ্য শুরুটা আশাব্যঞ্জক হয়নি সিলেটে। ইনিংসের ভূমিকাতেই মাশরাফির শিকার হয়ে ফেরেন লিটন দাস। পরে আফিফ হোসেনকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন সাব্বির রহমান। ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎই ছন্দ হারান আফিফ। রাইলি রুশোর অসাধারণ থ্রোতে ব্যক্তিগত ১৯ রানে রানআউটে কাটা পড়েন তিনি।

একে একে ফিরে গেছেন লিটন, আফিফ ও ওয়ার্নার। তবে থেকে গেছেন সাব্বির। একা কাধেঁ দলকে টেনে তুলছেন তিনি। দারুণ খেলছেন এ হার্ডহিটার। ইতিমধ্যে ঝড়ো ফিফটি তুলে নিয়েছেন। মাত্র ৩৪ বলে ২ চারের বিপরীতে ৪ ছক্কায় পঞ্চাশ স্পর্শ করেন তিনি। পরে ডেভিড ওয়ার্নারকে নিয়ে দলকে টেনে তোলেন সাব্বির। দুজনের মধ্যে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে। প্রথমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া তোলেন তারা। জুটি বেঁধে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটান উভয়ই। তাতে বাধে বিপত্তি। তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে মাশরাফির বলে অ্যালেক্স হেলসকে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফেরেন ওয়ার্নার। তাতে ভাঙে ৫১ রানের জমাট জুটি।

ওয়ার্নার ফিরলে ক্রিজে এসে সাব্বিরের সঙ্গে জোট বাঁধেন নিকোলাস পুরান। জমে ওঠে তাদের জুটি। একপর্যায়ে রূদ্রমূর্তি ধারণ করেন তারা। ব্যাটতে তলোয়ার বানিয়ে রংপুর বোলারদের কচুকাটা করেন দুজনই। ছোটান রানের ফোয়ারা। তাতে উড়ন্ত গতিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথে এগিয়ে যায় সিলেট। কোনোমতেই তাদের ঝড় থামানো যাচ্ছিল না। অবশেষে হার্ডহিটার সাব্বিরকে থামান শফিউল। স্তব্ধ হওয়ার আগে খেলেন ৮৫ রানের অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস। ৫১ বল মোকাবেলায় ৫ চারের বিপরীতে ৬ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান তিনি।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের পাহাড় গড়ে সিলেট। ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন পুরান। মূলত শেষদিকে সাব্বিরের চেয়ে বেশি তোপ দাগান তিনিই। মাত্র ২৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছ্ক্কায় ৪৭ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন ইনফর্ম এ ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন