২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

এ কেমন মাঘ মাস!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৬ অপরাহ্ণ, ২৪ জানুয়ারি ২০১৯

মাঘের শীতে বাঘ পালায়—এ প্রবাদ এই শীতে পাত্তাই পাচ্ছে না। বিশেষ করে এই রাজধানীতে। কুয়াশাঢাকা ভোর বা সন্ধ্যায় আগুনের ধারে গোল হয়ে ওম নেওয়ার দৃশ্য তো দেখাই যাচ্ছে না। অথচ আজ বৃহস্পতিবার ১১ মাঘ—ভরা শীত মৌসুম।

সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এরই মধ্যে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার ফেনীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের রেশ বাড়তে থাকায় শৈত্যপ্রবাহ নেই। দেশের বেশির ভাগ এলাকায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে ছিল। কেবল মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টিও ঝরেছে। শীতকালে এখন পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে অচল হয়নি দেশ। কুয়াশার বাধায় নৌচলাচল বন্ধ হয়নি। কুয়াশার কারণে এক দিনের জন্যও আকাশপথে ফ্লাইট শিডিউলে বিপর্যয় ঘটেনি।

অন্যদিকে, রাজধানী ঢাকা থেকে শীত এখন খিড়কির দ্বারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। নগরবাসী অনেকের ঘরে রাতের বেলা এখনই হয়তো পাখা ঘুরতে শুরু করেছে। ঢাকায় গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঘের বাকি দিনগুলোয় ঢাকা শহরে আর হয়তো শীত নাও পড়তে পারে।

বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে গতকাল ময়মনসিংহে ২৮ দশমিক ৩, চট্টগ্রামে ২৯ দশমিক ২, সিলেটে ২৯ দশমিক ৫, রাজশাহীতে ২৮ দশমিক ২, রংপুরে ২৬ দশমিক ৬, খুলনায় ২৯ দশমিক ২ এবং বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, মাঘ মাসে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করে থাকে। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ২২ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাই দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। কিন্তু এবার মাঘ মাসে শীতের এমন আচরণ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ ফেলে দিয়েছে। তাঁদের মতে, এ সময়ে আবহাওয়া এমনটি থাকার কথা নয়। পুরো শীত মৌসুমে প্রকৃতির বিপরীত আচরণ লক্ষ করা গেছে। বায়ুর আচরণে পরিবর্তন ঘটেছে।

মাঘ মাসে শীত গেল কোথায়?
এ প্রশ্নের উত্তরে আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, উচ্চ চাপবলয়ের কারণে এ দেশে পৌষ ও মাঘ মাসে শীত পড়ে থাকে। বিশেষ করে মাঘ মাস বা জানুয়ারি মাসে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। কিন্তু এবার তেমনটি ঘটেনি। শীত না পড়ার আরেকটি কারণ হলো পুরো শীত মৌসুমে পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাব পড়েনি।

গতকাল রাতে বৃষ্টির কারণে গরম পড়েছে মন্তব্য করে আবদুল মান্নান বলেন, বৃষ্টির রেশ কেটে গেলে উত্তরাঞ্চলে রাতের বেলা শীত পড়তে পারে। তবে এ বছর রাজধানী ঢাকায় আর শীত না পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন