২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা সমাচার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:১৯ অপরাহ্ণ, ০৬ অক্টোবর ২০২২

কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা সমাচার

শিব্বির দেওয়ান, বিশেষ প্রতিবেদক:: কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা ও সেবার মান নিয়ে প্রশংসনীয় প্রতিবেদন দেখেছি করোনাকালে। সেবা ও সেবার মানদণ্ডে সু-সেবার স্বাক্ষর রেখেছে কর্তা-ব্যক্তিরা যে যার মত করে। সেবা ও সু-সেবা ভালোবাসা মানবতার স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় সেবাপ্রার্থী ব্যক্তিরা ছিলো পুলোকিত। কর্তা-ব্যক্তিদের এমন অবদানের প্রতিদানে ইচ্ছা পোষণ করেছি যে পুষ্পমাল্যে বরণ করবো। সময় অসময়ে হয়ে উঠেনি।

সময়ের পরিক্রমায় ডা. আকিলের বদলি সর্বশেষ ডা. রেজাউল করিম রাজিবের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবার ভরসায় আশান্বিত সেবা প্রার্থী ব্যক্তিদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ অশ্রু কাতর মানুষ গণবদলি ঠেকাতে ভালোবাসায় মানববন্ধন করেছে কমলনগরে। যা কমলনগরে সেবার জগতে ইতিহাস। দুজনের বদলি কমলনগরে চিকিৎসা সেবায় অপূরণীয় ক্ষতি। যা গত ২ অক্টোবর সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেছি। লজ্জায় আবৃত হয়েছি বারবার।

সিদান্তহীনতায় পায়চারি করেছি বারংবার। বাচ্চার বিকেলে শ্বাসকষ্ট সন্ধ্যায় হাজির হাট বাজারে চিকিৎসা ব্যবস্থা। রাতে সমস্যা বেড়ে অধিক বমি। সারারাত দুঃচিন্তা। সকালে সমস্যা প্রতিকারে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গমন। সকাল তখন ৭টা। জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত আমাদের কমলনগরের সন্তান ডা. দাউদ সিদ্দিকী। জরুরী বিভাগে ছিলেন একমাএ ডা. দাউদ আর এক মুরুব্বি। গুরুত্বপূর্ণ কর্তা-ব্যক্তিরা হাওয়া। ডা. দাউদ সিদ্দিকী সু-সেবায় কমলনগরে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে বিখ্যাত। তার রোগী ভুরি ভুরি। বাচ্চা দেখলেন ভর্তি ব্যবস্থা করলেন।

ব্যবস্থাপনা পত্রে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর সাইন নাই বলে চিকিৎসা প্রদানে অনিহা প্রকাশ করলেন কর্তব্যরত নার্সগণ। ফলে বিপত্তি। কে শুনে কার কথা। শুরু হয়রানি এখন কাজ হলো সিঁড়ি বেয়ে উঠা আর নামার কসরত। দুইবার মিস গাইড।

তৃতীয় বার সাক্ষাতে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর শরনাপন্ন হয়ে সমস্যার প্রতিকার চেয়েছি। তিনি আমাকে আবার ও উপরে পাঠালেন। সমস্যার সমাধান হয়নি। হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের ছিলেন না। তার বিপরিতে দায়িত্ব সম্পাদনে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তিনি দায়িত্ব পালন না করে ঘুমাতে গেলেন। ডা. দাউদ বাদে বাকী দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা রুটিন সময়ে অনুপস্থিত।

তারা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন ১০টার পর। ফলে চিকিৎসা পেতে হয়েছে ১০টার পর। ভর্তি করেছি ৭.৩০ মিনিটে। ডা. আসলেন ব্যবস্থাপত্রে সাইন করলেন তারপর নার্সগণ দায়িত্ব পালন করলেন। মাঝখানে ৩/৪ ঘণ্টা সেবা বিরতি ছিলো। ফলে ডায়রিয়া রোগীর কান্নায় আকাশ ভারী কে কার কথা শুনে।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু তাহেরের নম্বরে কল করলে ও রিসিভ হয়নি। ফলে সমস্যা সমাধানে পৌঁছাতে পারিনি। ডা. দাউদ সিদ্দিকীর ব্যবস্থাপত্রে কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা মিলে না।

অথচ তিনিই জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ছিলেন। যারা কর্তা-ব্যক্তি তারা হাওয়া। কার ইশারায় কেমনে চলে হাসপাতাল গভীর অনুসন্ধান করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে ডা. দাউদ সিদ্দিকীর অর্ন্তকোন্দল কিনা তাহা জানার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো সদুত্তোর মিলেনি। রোগী নিয়ে এই হচ্ছে সাপলুডু খেলা। রোগীরা সেবা বঞ্চিত। অপচিকিৎসা ও কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চোখে পড়ার মত। আয়া করে নার্সের কাজ।

ক্যানালা পিটিং স্যালাইন সঞ্চালনের কাজ করেন আয়া। কিন্তু তাহলে নার্সদের কাজ কি? এখানেই শেষ নয়। ওয়ার্ডবয় ও করেন নার্সদের কাজ। সকালে ডায়রিয়াকৃত এক বাচ্চাকে ইনজেকশন পুশ করেন। ওয়ার্ডবয়। ফলে ইনজেকশনের মার্তা বেশি দিয়ে বাচ্চার জীবন হুমকিতে পেলেন।

বাচ্চার চোখ কপালে উঠলো বাচ্চার মায়ের চিৎকারে ওয়ার্ডবয় হাওয়া। সকল সমস্যার প্রতিকারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি। ডা. দাউদকে নিয়ে রাজিব নাটক হচ্ছে কিনা চোখ রাখুন। প্রতিবাদে সজাগ থাকুন।

গত ২/১০/২২ তারিখ সন্ধ্যা থেকে ৩/১০/২২ তারিখ বেলা ২টা পর্যন্ত বিদ্যুৎবিহীন কমলনগর হাসপাতাল। অন্ধকারে নিমজ্জিত চিকিৎসা ব্যবস্থা। মমবাতির আলোয় চিকিৎসা চলছে। ভুক্তভোগীদের মমবাতিই ভরসা। কোন উপায় নেই। অন্ধকারে ভুল চিকিৎসা হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। আর ভুল চিকিৎসা হলেই কারো জীবননাশ হবে। দায় কার? বিদ্যুৎ অফিসের বিদ্যুৎ নামক ভেলকিবাজি বন্ধ করা সময়ের দাবি। গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বিদ্যুৎবিহীন ১৮ ঘণ্টা চিন্তা করা যায়। তার ভেতর জেনেরেটর সেবা থেকে ও নেই। তৈল খরচের বরাদ্দ নেই অজুহাতে জেনেরেটর সেবা পরিবেশন বন্ধ। কতটুকু যুক্তি কথা বোধগম্য নয়। চিকিৎসা সেবা মৌলিক সেবার একটি। আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। সেবা হোক জনকল্যাণকর। মানুষ মানবতার জয় হোক। কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অব্যবস্থাপনা দূর হয়ে বিবেকবোধের দর্শনে মানুষ মানবতা হোক সেবার মাধ্যম।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন