২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কমেছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ, বেড়েছে মুরগির দাম

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২

কমেছে কাঁচামরিচের ঝাঁজ, বেড়েছে মুরগির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে দাম বেড়েছে মুরগি, লবণ ও গুড়া দুধের দাম। অন্যদিকে কমেছে ইন্ডিয়ান মুসুর ডালের দাম। কমেছে মরিচের দামও। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে সবজির দাম। পাশাপাশি মাছের দামেও তেমন পরিবর্তন আসেনি।

 

শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য চিত্র উঠে এসেছে। বাজারে অপরিবর্তিত সবজির দাম। শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। লম্বা বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। গোল বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা।

 

সিমের কেজি ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে সিমের কেজি ছিল ২৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৫০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৭০ টাকা, পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, বটবটির কেজি ‌৮০ টাকা, ধুনধুলের কেজি ৫০ টাকা।

অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছিল কাঁচামরিচের। যেভাবে দাম বেড়েছে সেভাবেই আবার কমেছে। রাজধানীর বাজারগুলোতে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম নেমেছে অর্ধেকের নিচে। এতে বিভিন্ন বাজারে এক কেজি কাঁচামরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। শুকনা মরিচের কেজি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।

 

বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁয়াজের দাম কমেছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। এসব বাজারে রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

বাজারে খোলা চিনি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। এছাড়াও লালা চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।এসব বাজারে দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৩০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হত ১১০ টাকায়। বেড়েছে লবণের দাম। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। এক সপ্তাহ আগে লবণের কেজি ছিল ৩৫ টাকা।

এছাড়াও বাজারে বেড়েছে গুড়া দুধের দাম। আধা কেজি গুড়া দুধের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৪২৫ টাকায়। সপ্তাহ আগে আধা কেজি বিক্রি হত ৪০০ টাকায়। বাজারে ৭ টাকা বৃদ্ধির নতুন দামে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯২ থেকে ১৯৫ টাকা।

 

এদিকে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর দফায় দফায় বাড়ে ডিমের দাম। যার ডজন ওঠে ১৬০ টাকায়। দেশের ইতিহাসে এর আগে কখনো এতো বেশি দামে ডিম বিক্রি হয়নি। এরপর গত সপ্তাহে লাল ডিমের দাম কমে ডজনে ১২০ টাকায় নেমে আসে।

 

বর্তমানে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। বাজারে হাঁসের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা। বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকায়।

 

মাছের মধ্যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে চিংড়ি ও ইলিশ। চিংড়ির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০০-১৮০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৯০০-১০০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা।

 

বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে। ব্রয়লার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। একদিন আগেও ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকা কেজি। ২০ টাকা দাম বেড়ে সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায়।

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন