২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

করোনার পরীক্ষামূলক ওষুধ তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, ০৬ এপ্রিল ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: বৈশ্বিক মহামারী রোধে যখন বিশ্বের নামী সব দেশ হিমশিম খাচ্ছে তখন এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশেও। আর এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে করোনায় কার্যকরী ওষুধ তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো। বিশ্বের নামীসব প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশি প্রতিষ্ঠানগুলো রাত-দিন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

দেশি যেসব প্রতিষ্ঠান ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছে তার তালিকায় রয়েছে: এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, জিসকা ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস প্রভৃতি।

ঔষধ প্রশাসন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় যেসব ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেসব ওষুধই তৈরি করছে দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো।

জানা গেছে, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর দেশীয় কোম্পানিগুলোকে বেশ কয়েকটি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দিয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ন্যাশনাল গাইডলাইন ফর কোভিড-১৯ বেশ কিছু ওষুধ তাদের নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

করোনার সম্ভাব্য ওষুধ তৈরির বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সংস্থাটির সাবেক পরিচালক গোলাম কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণ কমিটি নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নতুন কোনো ওষুধের অনুমোদন দেয়। দেশে কোনো ওষুধ বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করতে হলে এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। তবে সুবিধার দিক হচ্ছে, এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ ওষুধের মেধাস্বত্ব কেনা ছাড়াই ওষুধ তৈরি করতে পারে

প্রসঙ্গত, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ৫ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন প্রেসব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন করে দেশে ৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১২৩ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন মারা গেছেন। দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ১২ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন।’

তিনি আরো বলেন, ‘নুতন শনাক্তের মধ্যে ৪১-৫০ বছরের কোঠায় ১১ জন এবং ২১-৩০ বছরের কোঠায় আছেন ৬ জন। সারাদেশ শনাক্ত ১২৩ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা শহর ৬৪ জন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ২৩ জন এবং এরপরে মাদারীপুরে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ১২ জন শনাক্ত হয়েছে।’

ডা. সেব্রিনা বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেই দুদক পরিচালকের করোনা শনাক্ত করা হয়। এরপর তার সংস্পর্শে যারা এসেছিলেন তাদের কোয়ারেন্টিনে নেওয়া হয়। বাকি দু’জন হাসপাতালে আনার পর মারা যান।’

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। এরপর দিনে দিনে সংক্রমণ বেড়েছে।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন