২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

করোনা দুর্যোগে ভালো নেই তাঁরা!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২৮ অপরাহ্ণ, ২৫ জুন ২০২০

হাসান পিন্টু, লালমোহন:: মুচি, সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মানুষ এরা। তবুও নিজেদের সম্মান নিয়ে এদের কোনো অভিযোগ নেই। তবে করোনাকালে ভালো নেই তারা। সকাল ৮ টায় কাজ শুরু করে বিকাল ৪ টার মধ্যে সবকিছু গুছিয়ে আবার বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এর মধ্যে তাদের আয় হয় মাত্র দেড় থেকে দুইশত টাকা। যা দিয়ে সংসার পরিচালনায় হিমশিম খেতে হয় তাদের। টানাপোড়নে চলে সংসার। এরকম হাল ভোলার লালমোহন উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক মুচির।

করোনাকালে মুচিদের জীবন যাপন নিয়ে কথা হয় লালমোহন পৌরশহরের ভূমি অফিস সংলগ্ন উকিন্দ, সঞ্জিব, বাবু লাল ও জীবনের সাথে। নিজেদের দুর্দশার কথা জানিয়ে তারা বলেন, করোনার আগে আমাদের দৈনিক আয় হতো পাঁচ থেকে ছয়শত টাকা। তখন সকাল ৮ থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কাজ করতে পারতাম। তবে বর্তমানে দেশে করোনার কারণে প্রভাব পড়েছে আমাদের কাজে। সকাল ৮ টায় এসে ৪ টার মধ্যে দোকান বন্ধ করে দিতে হয়। এতে আয় হয় মাত্র দেড় থেকে দুইশত টাকা। এর মধ্যে নিজেদের খরচ হয়ে যায় প্রায় পঞ্চাশ-ষাট টাকা। বাকি যা অবশিষ্ট থাকে তা দিয়ে সংসার চলে না। এই সময়ে আমরা ভালো নেই। অন্যদিকে উর্পাজন কম হওয়ায় সন্তানদেরও ভালোভাবে পড়ালেখা করাতে পারছি না। তাই সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে না।

তাঁরা আরও বলেন, আমাদের খবর কেউ রাখে না। আমাদের একেক জনের এ পেশার বয়স ২৫-৩০ বছর করে। তবে আজ আজ পর্যন্ত আমরা সরকারী কোনো সহায়তা পাইনি। তাই সরকারের কাছে দাবী আমাদের জন্য যেনো দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতার ব্যবস্থা করে। তাহলে আমরা ভালোভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে পারবো।

এব্যাপারে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. মামুন হোসেন বলেন, বর্তমানে মুচিদের জন্য সরকারী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক ভাতার একটি প্রকল্প চালু রয়েছে। এক্ষেতে ভূক্তভোগী ব্যক্তির বয়স ৫০ হতে হবে। এছাড়াও এদের সন্তানদের জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা রয়েছে। তারা আবেদন করলে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। সামনের দিকে যদি সরকারী অন্য কোনো সহায়তা আসে তাহলে তা এদের মাঝে সঠিকভাবে পৌঁছে দেওয়া হবে।’

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন