বার্তা পরিবেশক, অনলাইন ::  করোনাভাইরাস মহামারীতে সংকটে বিশ্বের তাবৎ অর্থনীতি। ধসের কবলে শেয়ারবাজার, পর্যটন, বিমানসহ প্রায় সব খাতই। বাদ নেই বিয়ের বাজারও।

ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চীনের প্রায় সব অঞ্চলেই সব ধরনের অনুষ্ঠান ও লোকসমাগম নিষিদ্ধ রয়েছে। ফলে নতুন বিয়ে একপ্রকার বন্ধ। পিছিয়ে দেয়া হচ্ছে পূর্বনির্ধারিত তারিখগুলোও।

বিয়ের জন্য ভেন্যু বুকিং বাতিল করছেন অসংখ্য মানুষ। শুধু বিয়ের তারিখ কিংবা ভেন্যুই নয়। করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে বিয়ের পোশাকেও। করোনার কারণেই উৎপাদন থমকে গেছে।

ফলে আসছে বিয়ের মৌসুমে বাজারে বিয়ের গাউনসহ আনুষঙ্গিক জিনিসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

শনিবার সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিয়ের গাউন প্রস্তুতকারী অন্যতম দেশ চীন। আমেরিকান ব্রাইডাল অ্যান্ড প্রম ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বিশ্বের অন্তত ৮০ শতাংশ গাউনই তৈরি হয় চীনে। কিন্তু ভাইরাস সংক্রমণের পর থেকেই সেখানে বন্ধ রয়েছে অসংখ্য গার্মেন্ট-কারখানা। কিছু কিছু কারখানা চালু হলেও এতদিন বন্ধ থাকায় পণ্য সরবরাহে এর প্রভাব পড়বেই। ফলে এবারের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে

বিয়ের গাউনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। যুক্তরাষ্ট্রে অন্যতম গাউন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ডেভিড’স ব্রাইডালের প্রধান নির্বাহী জেমস মারকাম বলেন, আমরা অনেক দিন থেকেই চীনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আমার বিশ্বাস, এর (ভাইরাস) কারণে অনেক কিছুই বাধাগ্রস্ত হবে। শুধু বিয়ের গাউনই নয়, কনের প্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসেও ঘাটতি পড়বে।

চীনে এমনিতেই দিন দিন অবিবাহিত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১৮ সালে দেশটিতে বিয়ের হার ছিল ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিু। ওই বছর মাত্র ১ কোটি ১৪ লাখের মতো চীনা জুটি বিয়ে করেছিল।

এটা এর আগের বছরের চেয়ে অন্তত ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম। ২০১৯ সালেও এ ধারা অব্যাহত ছিল। গত বছরের প্রথম ভাগেই বিয়ের হার কমেছিল অন্তত ৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

চলতি বছর করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে অবিবাহিতের হার আরও বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।