২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

করোনা: যুবকের মৃত্যু, মরদেহ রেখে পালালেন ভাই-ভাবি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:২১ অপরাহ্ণ, ০৫ জুলাই ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আজাদ আলী নামে এক যুবক
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর মরদেহ রেখেই পালিয়ে যান তার ভাই-ভাবি।

শনিবার রাতে রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজাদের মৃত্যু হয়। তিনি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার জামগ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় আজাদ আলীকে রামেকের আইসিইউতে রাখা হয়। হাসপাতালে ছিলেন তার বড় ভাই ও ভাবি। তবে মৃত্যুর পর ওই দুইজনেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। তারা মরদেহ নিতে চাননি।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন রাজশাহী শাখার ইনচার্জ অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান জানান, আজাদ আলীর মৃত্যুর পরই মরদেহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে জানানো হয়েছে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকরা যোগাযোগ করলে আজাদের বড় ভাই ও ভাবি জানান, গ্রামে তাদের ভাইয়ের দাফন করতে দেয়া হবে না। কোয়ান্টাম যেন রাজশাহীতেই দাফনের ব্যবস্থা করে। পরে কোয়ান্টামের স্বেচ্ছাসেবকরা ভোর ৫টায় রাজশাহীতে কবর খনন শুরু করেন। এরপর ভোর ৬টায় আইসিইউর সামনে দেখেন মৃতের ভাই ও ভাবি নেই।

অন্য রোগীর স্বজনরা জানান, ফজরের আজানের পর তারা হাসপাতালে থেকে বেরিয়ে গেছেন। এরপর থেকে তাদের ফোন বন্ধ।

অ্যাডভোকেট মেহেদী আরো জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের মোবাইল নম্বর দুইটি বন্ধই পাওয়া যায়। এরপর একটি নম্বরে কল ঢোকে। তখন তাদের জানানো হয়, তারা মরদেহ নেবেন না। রাজশাহীতেই যেন দাফন করা হয়। পরে আর পাওয়া যায়নি। এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে মরদেহ বুঝিয়ে দিলে দাফন করা হবে।

রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস বলেন, স্বজনরা মরদেহ নেবেন না। আমরা বেওয়ারিশ হিসেবে পুলিশকে মরদেহ বুঝিয়ে দেব। পুলিশ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনকে বুঝিয়ে দিলে দাফন হবে।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন