২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কলেমাকে লালন করে মৃত্যু হলে জান্নাত পাওয়া যাবেই: নেছারাবাদী হুজুর

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:১৪ অপরাহ্ণ, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝালকাঠি:: নেছারাবাদ দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা আমীরুল মুছলিহীন হযরত মাওলানা মুহম্মদ খলীলুর রহমান নেছারাবাদী হুজুর বলেছেন কলেমাকে লালন করে যদি কেউ মৃত্যুবরণ করতে পারে, সে তাৎক্ষণিক হোক বা বিলম্বে হোক, জান্নাত পাবেই ইনশাআল্লাহ। বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত মাওলানা আযীযুর রহমান কায়েদ সাহেব হুজুর প্রবর্তিত দুই দিনব্যাপী বার্ষিক ঈছালে ছওয়াব ও ওয়াজ-মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে প্রধান অতিথির বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন। এনএস কামিল মাদ্রাসা ময়দানে এ মাহফিল চলছে। বুধবার ফজরের নামাজ শেষে আখেরী মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। আখেরী মোনাজাতে অংশ নিতে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানান নেছারাবাদী হুজুর।

আমিরুল মুসলিহীন বলেন, আপনি জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছতে যা যা প্রয়োজন তার সবকিছুই রয়েছে আজকারে খামচা বা পাঁচ প্রকারের জিকিরের মধ্যে। আমরা ওয়াদা করবো, আজ থেকে জীবনে কারো ক্ষতি করবো না। পাপের ফাঁকে ফাঁকে নেকের কাজও করবো।

নেছারাবাদী হুজুর বলেন, আমি ঈমানে আমলে শারীরিকভাবে রোগা হওয়া সত্ত্বেও চেষ্টা করে যাওয়ার জন্য আল্লাহ মাফ করবেন। যে সমস্ত আলেম ওলামাগন কথায় কথায় কাফের বলতেন, বর্তমানে তারা মুসলিহীনের ভাষায় কথা বলা শুরু করেছেন।

কায়েদ ছাহেব হুজুরের জীবন দর্শন নিয়ে আলোচনাকালে তাঁর একমাত্র সাহেবজাদা বলেন, একলাসের ভিত্তিতে হযরত কায়েদ ছাহেব হুজুর (রঃ) মসজিদের পাশে একটি বাক্সে লিখে দিয়েছিলেন ‘হালাল পন্থায় উপার্জিত অর্থ এ মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করবেন। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ এখানে দান করবেন না।’ মানুষ তখন হাসতো, অনেকে বলতেন- এ দিয়ে মসজিদ হবে না। কিন্তু আল্লাহ কবুল করায় এখন মসজিদ হয়েছে।

তিনি বলেন, ভাসা ভাসা জ্ঞান দিয়ে ঈমানকে আঁকড়ে ধরা কঠিন। কে কোন দোয়া ও দরুদ পড়বে সেটা তার আবেগের ওপর নির্ভর করে। অথচ একদল লোকেরা নির্দিষ্ট দরুদ পড়া ছাড়া অন্য দরুদ না পড়ার নির্দেশ দেন, কিন্তু হাজারো দোয়া ও দরুদ হাজারো কাজের জন্য প্রজোয্য কারো ওপরে কিছু চাপিয়ে দেওয়াটা ইসলাম সমর্থন করে না।

নামাজের ভেতরে যে দরুদ শরীফ আমরা পড়ি সেটাকে কোনা কিতাবে দরুদে ইব্রাহিম বলা হয়নি। বরং সে দরুদে শ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর নামই প্রথম। নামকরণের দিক দিয়ে যদি দরুদের নাম করা হয়, তবে সেটা হওয়া উচিত দরুদে মোহাম্মদী। এটাকে দরুদে ইব্রাহিম বলাটাও এক ধরনের বেয়াদবি। কোন কোন ফোকাহাদের মতে নামাজ ছাড়া এ দরুদ পড়া মাকরুহ। যদিও আমরা সে বারাবারি থেকে মুক্ত থাকি।

মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেসিনের মহসিচিব অধ্যক্ষ মাওলানা সাব্বির আহম্মেদ মোমতাজি, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, ছারছীনার মরহুম মেঝ পীরছাহেবের সাবেহবজাদা শাহ মোহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী।

সকাল থেকে অতিথিদের মধ্যে বয়ান করেন প্রখ্যাত মোফাচ্ছের মাওলানা ইদ্রিস আলী, বরিশালের গুঠিয়া জামে মসজিদের খতিব ড. আবু বক্কর সিদ্দিক, সাইখুল হাদিস মাওলানা মনিরুজ্জামান, মুফতি মাওলানা আবদুল কাদির আল মাদানী ও কায়েদ ছাহেব হুজুরের নাতি ও মাওলানা খলীলুর রহমানের ছেলে আযীযুর রহমান ত্বকি।

12 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন