গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নাজিরপুর ছোট ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা মো. রাজিব হোসেন রোমান (৪৪) নামে এক যুবককে ওই হুমকি দেন মো. শফি হাওলাদার (৪৮) নামে এক যুবক। শফি হাওলাদার কালাইয়া-বড়ডালিমা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য। তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই মো. মিজান মোল্লা কালাইয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজিব হোসেন বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বাউফল থানা সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শফি হাওলাদারে এক স্বজনের সঙ্গে রাজিবের পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরে মুঠোফোনে গলা কেটে ও গুলি করে হত্যার হুমকি দেন শফি হাওলাদার।
রাজিব হোসেন বলেন- ‘তিনি একজন সন্ত্রাসী। প্রকাশ্যে এক যুবককে নির্মমভাবে কুপিয়ে রক্তমাখা রামদা নিয়ে কালাইয়া বন্দরে ঘুরে বেরিয়েছে। এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে মেরেছে। সরকারদলীয় উপজেলা যুবলীগের শীর্ষ এক নেতার ছত্রছায়ায় থাকার কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সব সময় অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়।’ রাজিব আরও বলেন, শফি হাওলাদারের ভয়ে তিনি এখন পালিয়ে বেরাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শফি হাওলাদারের এক ঘনিষ্ঠজন বলেন,তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। অদৃশ্য কারণে পুলিশ গ্রেপ্তার করছে না।
এ বিষয়ে জানার জন্য শফি হাওলাদারের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করলে তিনি ধরেননি। খুদেবার্তা দিলেও তিনি ধরেননি, কিংবা কল করেননি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পটুয়াখালি, বিভাগের খবর