১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কাঠ-লোহার মিস্ত্রি হয়ে গেলেন দন্ত চিকিৎসক!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৪৩ অপরাহ্ণ, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: শিক্ষাগত যোগ্যতা বলতে এক বছরের কারিগরী প্রশিক্ষণ, যেখানে কাঠ-লোহার কাজ শেখানো হয় হাতে-কলমে। আর এই প্রশিক্ষণ শেষ করেই হয়ে গেলেন দাঁতের ডাক্তার!

চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে চিকিৎসাও শুরু করে দিয়েছিলেন এই দন্ত-চিকিৎসক। আর অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। সেই কথিত চিকিৎসকের নাম মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন। নামের আগে যিনি ডেন্টিস্ট লাগিয়ে রেখেছেন।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েক বছর ধরে হাটহাজারীর কাটিরহাট এলাকায় চেম্বার এবং চিকিৎসা কেন্দ্র খুলে দাঁতের চিকিৎসা করছিলেন মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন নামের এক যুবক। সন্দেহবশত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার চিকিৎসা কেন্দ্র জননী ডেন্টাল কেয়ারে গেলে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনো কাগজই দেখাতে পারেনি সে। শেষ পর্যন্ত বের করে দেয় কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের একটি সনদ পত্র।

নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন আরো জানান, প্রথমেই হেলাল উদ্দিনকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো তিনি চিকিৎসক কি না। জবাবে তিনি দাবি করেন তিনি প্রকৃত চিকিৎসক। এমনকি বিএমডিসি সনদ নিয়েই তিনি চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছেন বলে দাবি তার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিএমডিসি’র সনদ পত্র দেখতে চাইলে তিনি তার ফাইল থেকে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ডের এক বছর মেয়াদী সনদ পত্র বের করে দেন। কারিগরী সনদ দিয়ে চিকিৎসা চালানো যায় কি না জানতে চাইলে কথিত চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন কোনো জবাব দিতে পারেনি।

প্রতারণার অভিযোগে নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযুক্ত জননী ডেন্টাল কেয়ার বন্ধের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউএনও রুহুল আমিন।

2 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন