২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কাফনের তো পকেট নেই, যে টাকা নিয়ে কবরে যাবো: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ণ, ২২ জানুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলেই কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে রাত-দিন নিরালস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি উদাহরণস্বরুপ বলেন- পদ্মা সেতুর কাজ আগামী বছর শেষ হয়ে যাবে। তখন সেটি দিয়ে গাড়ি-ট্রেন চলবে। বরিশালের মানুষ ট্রেনে চড়বে। আবার সড়কপথে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘন্টার মধ্যে রাজধানীতে যেতে পারবে এই অঞ্চলের মানুষ। এত সব সহজতর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে।

শুক্রবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের আশ্রয়ন প্রকল্পে শীতার্থদের মাঝে কম্বল বিতররণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তুলে ধরে বরিশাল সদর আসনের এমপি জাহিদ ফারুক বলেন- আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে গত ২ বছরে সদর উপজেলার রাস্তাঘাট, স্কুল, মাদ্রাসা, মাঠ, পুকুর, মসজিদের উন্নয়নের জন্য বহু তালিকা করে প্রকল্প নিয়েছি। স্থানীয় সরকার যখন এগুলোর অ্যাপ্রোভাল দিয়ে দিবে তখন আমরা কাজগুলো শুরু করবো।

তিনি জানান, করোনাভাইরাসের যে ভ্যাকসিন বের হয়েছে, তারমধ্যে ২০ লাখ গত বুধবার দেশে পৌছেছে। আরও ৫০ লাখ ফ্রেব্রুয়ারির ৬ তারিখে পৌছে যাবে। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশে বানানো হয়নি, এটা অক্সফোর্ডের। পৃথিবীর সব জায়গায় এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এটা নিলে দোষের কিছু নেই, আপনি সুরক্ষিত থাকবেন। সব থেকে বড় কথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদেরকে সুস্থ-সবল রাখার জন্য টাকার দিকে চিন্তা করেননি। তিনি প্রথম থেকেই নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশে ভ্যাকসিন প্রথম দিকেই আসতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রামের মানুষ হিসেবে আপনাদের মনের জোর অনেক। তারপরও আপনাদের অনুরোধ সংক্রমন রোধে ও নিজে সুস্থ থাকতে মাস্কটা ব্যবহার করুন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যে উন্নয়ন হচ্ছে, তার সুফল পেতে হলে, বেঁচে থাকতে হবে। এজন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, ভ্যাকসিন দিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান মধু, মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জোবায়ের আব্দুল্লাহ জিন্নাহ, চরকাউয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা মাহাদ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহাবুব উল্লেখযোগ্য।

প্রতিমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন- আমি হারাম খাই না। তাছাড়া কাফনের তো পকেট নেই, যে টাকা নিয়ে কবরে যাবো। আমার মন্ত্রণালয়ে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ হয়। কিন্তু কেউ বলতে পারবে না আমাকে কারও টাকা দিতে হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমি মৃত্যুবরণ করলে সাড়ে ৩ হাত মাটির মধ্যে থাকতে হবে। সেটিকে আমি সুরক্ষিত রাখতে চাই। আমার মৃত্যু হলে মন্ত্রী হিসেবে ৫ হাত কবর করেও কেউ দিতে পারবেন না। এজন্যই আমি হারাম খাইতে চাইনা এবং খাইও না।

জনসাধারণের উদ্দেশে তিনি বলেন, সামনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার ইলেকশন। সদর উপজেলার উন্নয়ন করতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আমি আপনাদের নিশ্চিত করতে পারি মনোনীতদের বিজয়ী করলে অন্তত তাদের চুরি করতে দেবো না। এতে আপনাদেরই মঙ্গল হবে।’

13 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন