২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কারাগারে জায়গা নেই, কাশ্মীরের হোটেল-গেস্ট হাউসই কয়েদখানা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৩৫ অপরাহ্ণ, ১৭ আগস্ট ২০১৯

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে গোটা উপত্যকা জুড়ে চলছে ধরপাকড়। প্রধান দলগুলোর রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ আটক করা হয়েছে শত শত মানুষ। বাদ যাচ্ছেন না মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিত এমনকি শিক্ষকরা পর্যন্ত। এ অবস্থায় বন্দিদের রাখতে সমস্যায় পড়েছে প্রশাসন। কাম্মীরের কারাগারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। ফলে আটক ব্যক্তিদের রাখতে রাজ্য প্রশাসন এখন ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাড়া নিতে শুরু করেছে। ভারতীয় এক টিভি চ্যালেন এ খবর জানিয়েছে।

গত ৫ আগস্ট মোদি সরকার জমু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর সেরাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, ওমর আবদুল্লাহর মতো সাবেক মুখ্যমন্ত্রীদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রধান ডা. ফারুক আব্দুল্লাহসহ অনেক রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি অথবা আটক করা হয়েছে।

অতীতে যারা পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িত ছিল তাদেরকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মোদি সরকারের গৃহীত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনোরকম বিক্ষোভ প্রতিবাদ যাতে না হয় সেজন্যই এত বেশি লোকজনকে আটক করা হচ্ছে বলে জানা যায়। কিন্তু ঠিক কত লোককে আটক রাখা হয়েছে তা প্রশাসন ও পুলিশ তা প্রকাশ্যে আনছে না। তবে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, গত ৬ আগস্টই কমপক্ষে ৫ শতাধিক লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর আটককৃতদের সংখ্যা এত বেশি হওয়ার কারণে বেসরকারি স্থানকে ডিটেনশন সেন্টার হিসেবে ভাড়া নিতে হচ্ছে। এর মধ্যে গেস্ট হাউস, ছোট হোটেল ও আবাসিক সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এরআগে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বন্দিকে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশের আগ্রা ও বেরেলি কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। এদের মধ্যে ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আলী মুহাম্মাদ সাগর, কাশ্মীর হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মিয়াঁ কাইয়ুম ও কাশ্মীর চেম্বার অব কমার্সের কর্মকর্তা মুবীন শাহও রয়েছেন।

সূত্র: পার্স টুডে

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন