২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

কুয়াকাটায় খাবার হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকদের ধর্মঘট: পর্যটকদের দুর্ভোগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৩:৫৬ অপরাহ্ণ, ১৭ আগস্ট ২০২২

কুয়াকাটায় খাবার হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকদের ধর্মঘট: পর্যটকদের দুর্ভোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার খাবার হোটেল রেস্তোরাঁ মালিকরা হঠাৎ করে ধর্মঘট ডেকেছে। বুধবার সকাল থেকে সকল খাবার হোটেল বন্ধ রেখে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এ কর্মসূচি পালন শুরু করেন। ওইসব ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দফায় দফায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এমন পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন আগত পর্যটকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরপরই কুয়াকাটায় পর্যটকদের সমাগম বেড়ে গেছে। তাই পর্যটকদের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই মধ্যে একাধিক খাবার হোটেল মালিকদের জরিমানা করা হয়েছে। তবে তারা মানসম্মত খাবার পরিবেশনে ব্যর্থ হওয়ায় ফের কয়েক দফা জরিমানা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে খাবার হোটেল মালিক সংগঠন এর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার সকাল থেকে খাবার হোটেল রেস্তোরাঁ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।

এদিকে দুপুর পর্যন্ত খাবার হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ পেয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা। তারা এই ভোগান্তির অবসান কামনা করছেন।

মঙ্গলবার সকালে ৩০ সদস্যের একটি বহরে ঢাকার মুন্সীগঞ্জ থেকে কুয়াকাটা বেড়াতে আসা পর্যটকরা বলেন, সকাল থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি। তাদের সাথে পরিবারের শিশুসহ বয়স্ক লোকজন রয়েছে।

পর্যটক তপন বলেন, তিনি সকালে কুয়াকাটায় এসেছেন। কিন্ত খাবার হোটেল বন্ধ থাকায় তার শিশু সন্তান না খেয়ে আছেন। বাচ্চারা খাবারের জন্য কান্নাকাটি করছে।

তবে এমন হটকারি সিন্ধান্ত ট্যুরিজম ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন ট্যুর গাইড এসোসিয়েশনের সভাপতি কে এম বাচ্চু।

কুয়াকাটা খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম মাহমুদ জানান, করোনার সময় আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে আমরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি সেই মুহূর্তে বারবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আমাদের পথে বসানো হচ্ছে। প্রশাসন আমাদের বিষয়টি সহজ করে দেখলে আমরা হোটেল খুলে দেবো।

সংগঠনের সভাপতি সেলিম মিয়া বলেন, এ বিষয়ে তারা ভালো কোন ফলাফল না পাওয়ার আগ পর্যন্ত সকল হোটেল বন্ধ থাকবে। তবে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে গিয়েছেন বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি দেখছি।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন