২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

কুয়াকাটায় সমকালের সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদ সভা-স্মারকলিপি প্রদান

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২১ অপরাহ্ণ, ২৯ জুলাই ২০২০

বার্তা পরিবেশক কুয়াকাটা:: কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক দৈনিক সমকালের কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা খানাবাদ ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান এ রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে হয়রানীমূলক চাঁদাবাজি মামলা দায়ের হয়েছে। পরিবারের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় একটি প্রভাশালী মহল রাখাইন অংচানকে প্রভাবিত করে এ মামলাটি করানো হয়। এর প্রতিবাদে বুধবার (২৯ জুলাই) সকাল ১০টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা নিন্দা জানিয়ে মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানান। প্রতিবাদ সভা শেষে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হকের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সভায় বক্তারা উল্লেখ করেছেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহলের ইন্দনে মহিপুর থানাধীন লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়া আমখোলা পাড়ার রাখাইন অংচান গত ১৯ জুলাই কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। এমনকি উদ্দ্যেশ্য প্রণোদিত এ মামলার ইন্দনদাতাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করার জন্য সাংবাদিক খান এ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এহেন মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে।

প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ.এম. মিজানুর রহমান বুলেট, সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব কুদ্দুস মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী সাঈদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অনন্ত মুখার্জী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু, সহ সভাপতি মোঃ ইসাহাক শেখ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, দপ্তর সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা শেষে একই দিন দুপুর ১২টায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হাতে স্মারকলিপিটি তুলে দেন।

সাংবাদিক ও সহকারী অধ্যাপক খান এ রাজ্জাক বলেন, আমার চাচা কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব জহিরুল ইসলাম খানের সাথে একই এলাকার রাখাইন অংচান এর জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলক আমি ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, মামলার ইন্দনদাতা লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন সম্প্রতি তাদের পরিবার ও কলেজের জমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা তুলতে চাইলে পুলিশ প্রশাসন প্রতিহত করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদাবাজি মামলা করে এবং মামলার তদন্ত ভার আদালত থেকে চেয়ারম্যানের ওপর আনা হয়।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, মামলাটি উদ্দেশ্য মূলক করা হয়েছে। আমরা এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানাই। আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি যার ইন্দনে মামলাটি হয়েছে, বিজ্ঞ আদালত তাকেই মামলাটির তদন্তভার দিয়েছেন। আমরা সঠিক তদন্ত নিয়ে সন্দিহান।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মাদ শহিদুল হক বলেন, স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের দপ্তরে পাঠনো হয়েছে এবং এ বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন