২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

ক্ষমতার অপব্যবহার করায় চেয়ারম্যানকে অপসারণ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫২ অপরাহ্ণ, ০৬ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ক্ষমতার অপব্যবহার করা  ও নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়েনিজের অফিসে উপসহকারী প্রকৌশলীকে।
ডেকে এনে হেনেস্থা করায়। কিশোরগঞ্জে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রেনুকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।

আদেশে বলা হয়, যেহেতু মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়ে কাজ কর্মে জটিলতা সৃষ্টি করা; ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে বিভিন্ন সময় বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়ে প্রশাসনের সঙ্গে পরিষদের দূরত্ব সৃষ্টি করে উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা; নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উপসহকারী প্রকৌশলীকে নিজ অফিসে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বক্তব্য দিয়ে পরিষদ ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগ রয়েছে।

এ ছাড়া তিনি ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন ত্রাণের গম আত্মসাতের মামলার সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামি, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যা মামলার এবং প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতির মামলার ১ নম্বর আসামি ও বিভিন্ন ব্যাংক।

চেকজালিয়াতির মামলার আসামিও বটে- ইত্যাদি অভিযোগে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সদস্যরা বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করে; এবং যেহেতু পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অনাস্থা প্রস্তাবে বর্ণিত অভিযোগ উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত] এর ১৩(খ) ও ১৩(গ) ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন; এবং যেহেতু আনীত অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তকালে প্রস্তাবটি পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চার-পঞ্চমাংশের বেশি সদস্যের ভোটে গৃহীত হয়েছে; সেহেতু সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছেন।

এমতাবস্থায় পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলামকে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো; এবং পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পরিষদের আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হলো। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং অবিলম্বে তা কার্যকর হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম রেনু দ্বিতীবারের মতো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন