২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

খুন হওয়ার আগে ফেসবুকে যুবলীগ নেতার পোস্ট, সর্বত্র তোলপাড়

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১০ পূর্বাহ্ণ, ০৭ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক বাউফল:: পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা রুমন তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগকর্মী ইশাত খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কেশবপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই ইউপির চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে সাময়িকভাবে বহিস্কার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে স্থানীয় এমপি আসম ফিরোজ গ্রুপের উপজেলা আওয়ামী লীগের এক সাংগঠনিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেত তাকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। একই সাথে ৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই সাংগঠনিক সভায় স্থানীয় এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপিত আসম ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে খুন হওয়ার আগে যুবলীগ নেতা রুমন তালুকদারের ফেসবুকে দেয়া একটি স্ট্যাটাস নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। খুন হওয়ার ২৪ দিন আগে গত ১৩ জুলাই ওই স্ট্যাটাসে রুমন তালুকদার খুন হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেন, ‘কাল রাত ১০টায় চেয়ারম্যান বাড়ির দরজায় চটপটি খেতে গিয়েছিলাম। সে এসে আমাকে বললো তুই আমাকে অনেক জ্বালাইছ, তোরে খুন করমু। ফাস্ট কেউ আমার সামনে এমন কথা বলেছে আর আমি কিছুই বলি নাই’। এর ৩ মাস ৭দিন আগে যুবলীগ নেতা রুমন অপর এক স্ট্যাটাসে উল্লখ করেছিলেন, ‘যদি আমার কোন দুর্ঘটনা বা অপমৃত্যু হয় তাহলে কেশবপুরের লাভলু চেয়ারম্যান ও অভি দায়ি থাকবেন। তাই আমি প্রশাসনের কাছে ও আমার মহান নেতার কাছে এ বিচার দাবি করছি।’ অভি হচ্ছেন সূর্যমনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুর ছেলে।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সন্ধ্যায় কেশবপুর বাজারে চা পান করতে গিয়ে ওই ইউপির যুবলীগ সহ-সভাপতি রুমন তালুকদার ও তার চাচাতো ভাই যুবলীগ সদস্য ইসাত প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই মোঃ মফিজ উদ্দিন মিন্টু গত ৪ আগস্ট চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন লাভলুকে প্রধান আসামী করে ৫৯ জনের নাম উল্লেখ এবং ১৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মোট ৭৫ জনের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু ওই মামলায় রহস্যজনক কারণে অভিকে আসামী করা হয়নি। এনিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘যেখানে কর্তা ইচ্ছে কির্তন হয়। সেখানে মুখ খুলতে গেলে আমাকেও রোষানলে পরতে হবে। বুঝে নেন, কোন নেতার কারণে অভিকে আসামী করা হয়নি? রুমন যাকে মহান নেতা মনে করে বিচার দাবি করেছেন, তিনিই অবিচার করলেন।’

এ ব্যাপারে নিহত যুবলীগ নেতা রুমনের বড় বোন অনি বরিশালটাইমসকে জানান, ‘অভি আসামী না হওয়ায় আমি ক্ষুদ্ধ হয়েছি। হতাশ হয়েছি। পরে খবর নিয়ে জানলাম, বিশেষ এক রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপের কারণে অভিকে আসামী করা হয়নি। বিশেষ ওই নেতার নাম জানতে চাইলে, তিনি ওই বিশেষ রাজনৈকি নেতার নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন