১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

গভীর রাতে ঢাবি ছাত্রকে মেরে ডাস্টবিনে ফেললো ছাত্রলীগ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২:৫৭ অপরাহ্ণ, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে মেরে ডাস্টবিনে ফেলে রাখলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দিন হলের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম আবুল কাসেম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র এবং জসীমউদদীন হলের বাসিন্দা। পরে ওই নেতাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। একই হলের ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসানের নেতৃত্বে ওই হামলা হয়েছে।

এ সময় কাসেমকে বাঁচাতে দিয়ে আহত হন একই হলের ছাত্র এবং বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বিভাগের জোবায়ের, ম্যানেজমেন্ট ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মোস্তফা দাউদ ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শওকত। এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ও একটি মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হাসান বলেন, মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে জসীমউদদীন হলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের মারা হচ্ছিল দেখে আমরা সেখানে যাই। গিয়ে দেখি অভিযুক্তরা পালিয়ে গেছেন। পরে আমরা আহতাবস্থায় কাসেমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

ভুক্তভোগী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইমাম ও কাসেমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ইমামসহ তার অনুসারীরা কাসেমকে মারধর করতে থাকে। এ সময় কাসেমকে বাঁচাতে গেলে আরো তিনজনকে মারধর করা হয়। কাসেম গুরুতর আহত হলে ইমামের অনুসারীরা তাকে হলের ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। পরে সেখান থেকে সূর্য সেন হল ছাত্রলীগ নেতা মেশকাতসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে ঢামেকে ভর্তি করেন।

জসীমউদদীন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।’’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন