২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

গানের অনুষ্ঠানে নেওয়ার কথা বলে ২ নারী বাউলকে ‘গণধর্ষণ’!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

গানের অনুষ্ঠানে নেওয়ার কথা বলে ২ নারী বাউলকে ‘গণধর্ষণ’!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: সিলেটে গানের অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ধানক্ষেতে দুই কিশোরী বাউল শিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত ২ নভেম্বর রাত ১০টার দিকে সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানাধীন শিবেরবাজার এলাকার বাছনা বিল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগীর মা। আজ বৃহস্পতিবার সিলেট মহানগরে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ তুলে ধরেন তিনি। তবে পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় দুই আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলন করে এক ভুক্তভোগীর মা অভিযোগ করেন, গত ২ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জের পুটামারা গ্রামের ভানুদাসের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের জন্য কোম্পানীগঞ্জ থানার ইছাকলস গ্রামের মৃত শুকুর উদ্দিনের ছেলে মো. ফয়জুল হকের সঙ্গে বাউল শিল্পী পাঠানোর মৌখিক চুক্তি হয়।

ফয়জুলের কথামতো ২ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি তার শিল্পী মেয়ে, মেয়ের স্বামী এবং আরও এক কিশোরী বাউল শিল্পীকে নিয়ে জালালাবাদ থানাধীন তেমুখী পয়েন্ট থেকে একটি প্রাইভেটকার যোগে যাত্রা করেন। এ সময় প্রাইভেটকারের পাশাপাশি একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে অভিযুক্ত ফয়জুলের সঙ্গে তার ৭-৮ জন সঙ্গী ছিলেন।

একসময় তারা শিল্পীদের গানের অনুষ্ঠানের দিকে না নিয়ে জালালাবাদ থানার শিবেরবাজার এলাকার বাছনা বিলের দিকে জোরপূর্বক নিয়ে যেতে থাকেন। একপর্যায়ে অটোরিকশার যাত্রীরা নেমে অস্ত্রের মুখে শিল্পীদের টেনে-হিঁচড়ে বাছনা বিলের ধানক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে দুই কিশোরী শিল্পীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ফয়জুল ও তার সহযোগিরা।

এ সময় এক নারী শিল্পীর স্বামী কৌশলে জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে জালালাবাদ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। তবে ততক্ষণে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী নারীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাউল শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট সিলেটের সভাপতি শাহ তোফাজ্জল ভান্ডারি।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় জালালাবাদ থানায় ৩ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার শিল্পীরা বাদী হয়ে মামলা করেন। তবে ঘটনার পর দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মাত্র দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত ফয়জুলকে একদিনের রিমান্ডে নিয়ে সব তথ্য জানতে পারলেও অন্য আসামিদের ধরছে না। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান জানান, ঘটনার দিনই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। বাকিদের ধরতে চেষ্টাও চালাচ্ছি। কোনও অভিযুক্তকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন