২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

গৌরনদীর সেই বিএনপি নেতার ওপর ছাত্র-যুবলীগের হামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ, ০২ জুন ২০২৩

গৌরনদীর সেই বিএনপি নেতার ওপর ছাত্র-যুবলীগের হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল ও গৌরনদী:: বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আমিনুল হক ওরফে শাহীনের ওপর হামলা হয়েছে। নিজের দোকানের ভাড়া তুলতে না পেরে ছাত্রলীগ–যুবলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এই হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বার্থী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর আহত আমিনুল হককে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আফজাল হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় এখনও কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএনপির নেতা আমিনুল হক বলেন, বার্থী বাজারে তাঁর তিনটি দোকান রয়েছে। এগুলো দখলে নিয়ে ৬ মাস ধরে প্রতি মাসে সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়া তুলে নেন সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল হাওলাদার, বার্থী ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য মো. শাহ আলী বয়াতি এবং আবদুল কাদের সরদার। এ ঘটনায় তিনি গত রোববার এই ৩ জনসহ ১০ জনকে আসামি করে বরিশাল আদালতে মামলা করে রাজধানী ঢাকা চলে যান।

মামলা করায় ছাত্রলীগের নেতা রাসেল হাওলাদার মুঠোফোনে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযোগ করে আমিনুল হক বলেন, গতকাল তিনি ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বার্থী বাজারে পৌঁছালে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন প্যাদা, ছাত্রলীগের নেতা রাসেল হাওলাদার, যুবলীগের নেতা শাহ আলী বয়াতি এবং আবদুল কাদের সরদারের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন লাঠিসোঁটা, রড, জিআই পাইপ ও ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হামলা চালান।

আমিনুল হক বলেন, একপর্যায়ে তাঁকে বেদমভাবে পিটিয়ে আটকে রাখেন তাঁরা। এ দৃশ্য বাজারের শত শত মানুষ প্রত্যক্ষ করলেও ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে তাঁর স্ত্রী–ছেলেসহ আত্মীয়স্বজনেরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে চাইলে হামলাকারী ব্যক্তিরা বাধা দেন। পরে স্বজনেরা পুলিশের সহায়তা নিয়ে রাত ৯টায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে যুবলীগের নেতা মামুন প্যাদা, শাহ আলী বয়াতি ও আবদুল কাদের সরদারের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা ফোন ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও কোনো সাড়া মেলেনি।

সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল হাওলাদার দোকান থেকে ভাড়া তুলে নেওয়া এবং হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে বলেন, বিএনপি নেতার ওপর হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন