১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রেখে জীবিকা তাদের

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪৪ অপরাহ্ণ, ৩০ মে ২০২৩

গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রেখে জীবিকা তাদের

হাসান পিন্টু, লালমোহন (ভোলা): এক সময় গ্রাম-গঞ্জের হাট-বাজারগুলোতে খোলামেলা পরিবেশে পিঁড়িতে বসে চুল-দাড়ি কাটানো ও শেভ করা হতো। বর্তমান সময়ে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই দৃশ্য আর তেমন চোখে পড়ে না।

যা এখন বিলীনের পথে। তবে গ্রামীণ সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন চিত্তরঞ্জন শীল ও নারায়ন শীল। নিয়ম করে গত প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোলার লালমোহনের গজারিয়া বাজারের পশুর হাটের কাছে ফুটপাতে পিঁড়িতে বসিয়ে তারা স্থানীয়দের চুল- দাড়ি কাটেন, করান শেভও। যার আয় দিয়ে চলে তাদের সংসার।

তাদের কাছে আসেন বিভিন্ন বয়সের লোকজন। এ কাজের জন্য চিত্তরঞ্জন ও নারায়ন শীলের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বলতে রয়েছে; চিরুনি, কাপড়, ছোট আয়না, ক্ষুর ও কাঁচি।

তারা পার্শ্ববর্তী চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর ইউনিয়নের আলীগাঁও এলাকার বাসিন্দা। নরসুন্দর চিত্তরঞ্জন শীল জানান, আগে মানুষজন পিঁড়িতে বসে খোলা আকাশের নিচে এভাবেই চুল-দাড়ি কাটাতেন ও শেভ করতেন।

সেই ঐতিহ্য ধরে রেখে গত ৫০ বছর ধরে বিভিন্ন হাটে গিয়ে ফুটপাতে পিঁড়িতে বসিয়ে মানুষের চুল কাটান। করান শেভ। এ কাজ করে প্রতি হাটে তাদের গড়ে দেড়শত টাকার মতো আয় হয়।

এ টাকা দিয়েই চলে তার ৬ সদস্যের পরিবার। আরেক নরসুন্দর নারায়ন শীল বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন বয়সের লোকরাই আসেন। তাদের চুল-দাড়ি কাটলে ও শেভ করালে কেউ ২০ টাকা, আবার কেউ ৪০ টাকা করে দেন। এতে করে প্রতি হাটে দেড়শত টাকার মতো আয় হয়। এই আয়ের টাকা দিয়েই চলে ৭ সদস্যের সংসার।

নরসুন্দর চিত্তরঞ্জন ও নারায়ন শীলের কাছে চুল কাটাতে ও শেভ করতে আসা কয়েকজন জানান, এদের কাছে কম দামে চুল-দাড়ি কাটানো যায়। শেভ করতেও তারা কম টাকা নেয়।

এ জন্যই তাদের কাছে আসি। বাজারের সেলুনগুলোতে গেলে এক থেকে দেড়শত টাকা করে দিতে হয় চুল-দাড়ি কাটতে ও শেভ করতে। এক সময় খোলা পরিবেশে বসেই চুল-দাড়ি কাটাতে হতো। এখন আর এসব সচরাচর দেখা যায় না।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন