২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝালকাঠিতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৬ অপরাহ্ণ, ১৯ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, ঝালকাঠি :: বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সুপার সাইক্লোন ‘আম্ফান’ আরও উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। উপকূলীয় ১৪ জেলাকে ৭ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর। ইতোমধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ঝালকাঠিতে।

মঙ্গলবার দুপুর ১টার পর থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। জেলার সুগন্ধা, বিশখালী আর হলতা নদীর পানিও থমথমে অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় জেলার বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী উপজেলা কাঁঠালিয়ার জেলেদের নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সেই সঙ্গে সুগন্ধা নদীর কলেজ খেয়াঘাট ও পৌরসভা খেয়াঘাটে সব ধরনের ইঞ্জিনচালিত ট্রলারকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জেলার সব সাইক্লোন শেল্টার।

বিকেলে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলীর সভাপতিত্বে সভায় জেলার সব সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানান, জেলার সব সাইক্লোন শেল্টার, বিদ্যালয় এবং পাকা ভবনসহ ঝালকাঠি জেলায় মোট ২৭৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুকনা খাবার ও চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জানমালের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয় সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসায় বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টায় মহাবিপদ সংকেত জারি করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, (মঙ্গলবার) রাতের মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ২০ থেকে ২২ লাখ লোককে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন