২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে লণ্ডভণ্ড মির্জাগঞ্জ, বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩০ অপরাহ্ণ, ২১ মে ২০২০

বার্তা পরিবেশক, মির্জাগঞ্জ:: ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান”র তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়েছে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বেরিবাঁধসহ বসতঘর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ পানি বৃদ্ধি পায় বলে জানান নদীর তীরবর্তী বসবাসকারী লোকজন। গত বুধবার সন্ধ্যার পরে বাতাসের তীব্র গতিবেগে গাছ চাপায় লন্ডভন্ড হয়েছে অধিকাংশ বসতঘর। পায়রার স্রোতের তোড়ে ও উপচেপড়া ঢেউয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ভেঙে পড়েছে উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা-পাকা রাস্তা। পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফসলের ক্ষেত।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গোলখালী, আন্দুয়া, কিসমত ঝাটিবুনিয়া (শৌলজালিয়া) ও রামপুর, চরকান্দা, পায়রাকুঞ্জ, পিপঁড়াখালী, ভিকাখালী, সুন্দ্রা কালিকাপুর এলাকার বেড়িবাঁধ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে । এছাড়াও দেখা যায় উপজেলার রামপুর এলাকার পায়রা নদীর পাড়ে বেশ কিছু বসতঘর গাছ চাপায় ভেঙে গেছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে উপজেলায় প্রায় ৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ও ৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানিবন্দি রয়েছে প্রায় ১৫ শত পরিবার। এছাড়াও ৩০টি বসতঘর সম্পূর্ণ ও ৩০০ টি বসতঘর আংশিকভাবে ভেঙে গেছে।

উপজেলার আন্দুয়া গ্রামের মো. মিরাজ হোসেন প্রিন্স বরিশালটাইমসকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে এবার যে ক্ষতি হয়েছে তা সিডরেও এমন ক্ষতি হয়নি। আমাদের ফসলের জমি তলিয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বেড়িবাঁধ ও কিছু ঘর বাড়ি ভেঙে গেলেও প্রাণহানীর কোন ঘটনা ঘটেনি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। ঢেউটিনের চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আজ ক্ষতিগ্রস্ত ৫০ টি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।’

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন