২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

চরফ্যাসনে ট্রলার ডুবি: ঘাতক ট্রলিং এফবি এসআরএল-৫ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:২৬ অপরাহ্ণ, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

চরফ্যাসনে ট্রলার ডুবি: ঘাতক ট্রলিং এফবি এসআরএল-৫ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি >> ভোলার চরফ্যাসনের ঢালচরের দক্ষিণে সাগর মোহনায় ট্রলিং জাহাজের ধাক্কায় মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ২১ জেলের মধ্যে উদ্ধার হওয়া হাফিজের তথ্য অনুযায়ী ঘাতক ট্রলিং জাহাজটির নাম জানা গেছে। মঙ্গলবার রাতে হাফিজ বাদী হয়ে এফবি এসআরএল -৫ নামের ট্রলিং জাহাজের কর্তৃপক্ষকসহ অজ্ঞাতনামা আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য ভোলার মির্জাকালু নৌ-পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করেছেন বলে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে বাদী হাফেজ আহামেদ দাবি করেন, ঘটনার রাতে তারা মাছ ধরার কাজে সাগরে ছিলেন। আবহাওয়ার সংকেত শুনে তারা (জেলেরা) তীরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি এবং অপর জেলেরা ট্রলারের ওপরে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময়ে বিপরিত দিক থেকে আসা এফবি এসআরএল-৫ নামের ট্রলিং জাহাজ (মাছ ধরার স্টিল বডির বিশেষ জাহাজ) তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে ট্রলারে থাকা জেলেরা গভীর সাগরে ছিটকে পড়ে। দুর্ঘটনার কবল থেকে তাদের উদ্ধারে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের সামছল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন এগিয়ে এসে সার্চ লাইটে ওই ট্রলিং জাহাজটির নাম দেখতে পায়। পরে ট্রলিং জাহাজটি তাদেরকে ধাওয়া করলে ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন সাগরে ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। তীব্র স্রোতের টানে সাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভেসে যায় অপর জেলেরা। তিনি তাদের ট্রলার থেকে ভেঙে যাওয়া একটি কাঠের ফালা ধরে সাগরে ভাসতে থাকেন। রাতভর সাগরে ভেসে থাকার পর সকালে মহিপুর ঘাটের একটি মাছ ধরা ট্রলার তাকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। ট্রলিং জাহাজটির নাম শনাক্ত হওয়ায় তিনি বাদী হয়ে ট্রলিং জাহাজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

ভোলার মির্জাকালু নৌ-পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই রুহুল আমিন জানান, জেলে হাফেজের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

চর মানিকা কোস্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোষ্ট গার্ডের একাধিক টিম কাজ করছেন। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে।

এদিকে দূর্ঘটনাস্থল থেকে ওই (হাফেজ খন্দকার) জেলে বেঁচে ফিরলেও অপর নিখোঁজ ২০ জেলের জীবন নিয়ে রয়েছে অজানা আশঙ্কা। উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া জানিয়েছে নিখোঁজদের স্বজনরা। জীবিত না পেলে স্বজনের মরদেহ হলেও ফেরত পেতে চায় নিখোঁজ জেলেদের স্ত্রী- সন্তানরা।’

 

1 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন