২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

চরমোনাই পীর-মামুনুল সমর্থকদের বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫৩ অপরাহ্ণ, ২৭ নভেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল :: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর চরমোনাই পীর সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অনুসারীরা শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এসময় সাত-আট জনকে আটক করে রমনা থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জুমার নামাজ শেষে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে ভাস্কর্যবিরোধী মিছিল বের করে কয়েকশ বিক্ষোভকারীরা। এতে পুলিশ বাধা দিলে সেখানে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে মিছিল নিয়ে বের হলে কাকরাইলে এসে পুলিশি বাধায় তা পণ্ড হয়ে যায়।

ভাস্কর্যবিরোধী এই মিছিলে বিভিন্ন স্লোগানের পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগানও দেয়া হয়। তবে তারা কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। সেই সঙ্গে মিছিলে ছিল না কোনো ব্যানার কিংবা ফেস্টুন।

সৈয়দ ফয়জুল করীম এবং বাংলাদেশ হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের অনুসারী মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন সম্প্রতি ফয়জুল করীম ও মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছে এবং তাদের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ মিছিল করতে এসেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের হামলা করেছে।

ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতি শুক্রবার বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ সমাবেশ বা মিছিল বের করতে আমাদের কাছে চিঠি দিয়ে অনুমতি চেয়ে থাকে। কিন্তু আজকে ‘তৌহিদী জনতা’র ব্যানারে যারা মিছিল বের করেছে তারা আগে থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়াই তারা বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে মিছিল বের করে। আমরা থামিয়ে তাদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা সে বিষয়ে কোনও জবাব না দিয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করেন। পরে আমরা তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই। এ সময় কথা বলার মতো তাদের পক্ষে কোনও নেতা ছিলেন না।

তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা (পুলিশ) তাদেরকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে, অনুমতি ছাড়া তারা এটা করতে পারে না। কিন্তু তারা তখনও কোনো কথা না শুনে কাকরাইলের কর্ণফুলী মার্কেটের সামনে পর্যন্ত চলে আসে। এতে যানবাহন চলাচল থেমে যায়।

রমনা থানা পুলিশের এসআই মামুন বলেন, তৌহিদী জনতার ওই মিছিল থেকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য সাত-আট জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। যাচাই-বাছাই করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মিছিলটির নেতৃত্বে ছিল না পরিচিত কোনো নেতা বা কোনো দলের পরিচয়। এমনকি পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার তাদের কাছে দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলেও তারা কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি।

0 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন