১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাকসু নির্বাচন : ছাত্রত্ব নিতে ছাত্রলীগের মান্নার দৌড়ঝাঁপ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:৫৩ অপরাহ্ণ, ৩০ জানুয়ারি ২০১৯

বিএম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড়ের সংবাদে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন মহানগর ছাত্রলীগের পদবিহীন এক নেতা। এই নিয়ে ইতিমধ্যে নানা গুঞ্জনও শুরু হয়েছে এই ছাত্র নেতাকে নিয়ে। ছাত্রত্ব না থাকায় বেশ বিপাকেও পড়েছেন এই ছাত্রলীগ নেতা। তার টার্গেট যেভাবেই হোক বাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সেখান থেকে ভিপি অথবা জিএস পদ তাকে বাগাতেই হবে।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে- মহানগর ছাত্রলীগের বিতর্কিত নেতা রইজ আহম্মেদ মান্না বেশ কয়েকদিন যাবৎ কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ও প্রশাসনিক ভবনের ভর্তি শাখায় বেশ দৌড়ঝাপ করছেন ছাত্রত্বর জন্য। তবে তার ছাত্রত্ব নতুন করে দেয়া নিয়ে বেশ বিপাকেও পড়েছেন হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ও ভর্তি শাখার কর্মকর্তারা। তাদেরকে নানা ভাবে ভয়ভীতিও দেখাচ্ছেন মান্না। এমনটা অভিযোগ পাওয়া গেছে এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা জানান, মান্না বিভিন্ন সময় এসে তার ছাত্রত্বর জন্য লবিং ও তদবির করছেন। দিচ্ছেন হুমকি ধামকিও। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে এসব কর্মকর্তা কর্মচারীরা খোলাসা করে কিছু বলতে রাজি হয়নি। পরে নানা শর্তের ভিত্তিতে তারা এই বিষয় স্বীকার করেন।

তারা বলেন, বাকসু নির্বাচন নিয়ে গুঞ্জনের পর থেকেই রইজ আহম্মেদ মান্না ভর্তি শাখায় প্রায়ই আসেন। আর সেখানে যদি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে না পাওয়া যায় তাহলে কলেজের বাইরে বসে ওই কর্মকর্তাকে ধরে তার ভর্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেন।

কলেজের একটি বিশ্বস্ত সূত্র বলছে- রইজ আহম্মেদ মান্না পূর্বে বিএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। তবে তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়ার পর সে পিরোজপুরের একটি কলেজে গিয়ে ভর্তি হন। সেখানেও হয়তো তার ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায়। এরপর বাকসু নির্বাচন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হলে পুনরায় রইজ আহম্মেদ মান্না দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিএম কলেজের ছাত্রত্ব গ্রহণের চেষ্টা করছেন। এই পর্যায়ে মান্না হয় ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ অথবা হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রত্ব নেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। ম্যানেজ করতে চাইছেন কলেজ প্রশাসনকেও। কলেজের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে সুসম্পর্ক থাকায় সেই সুযোগ নিতে হয়তো বেশ বেগ পেতে হবে না মান্নাকে।

এসকল অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রইজ আহম্মেদ মান্না বলেন- ‘বিএম কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আমি। কলেজের এই ডিপার্টমেন্টে খোঁজ নিয়ে দেখেন। আমি রানিং স্টুডেন্ট। আর আমি যে দৌড়ঝাপ করছি সেটা সম্পূর্ন গুজব। আমার প্রতিপক্ষ এই গুজব রটিয়েছে।

এই বিষয়ে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান সিকদার জানান- ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যাওয়া ব্যক্তি পুনরায় ছাত্রত্ব গ্রহণ করতে পারবেন, যদি ডিগ্রি (পাস) কোর্সে ভর্তি হতে চায়। তবে অনার্স (সম্মান) বা মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশন হিসেবে।

ছাত্র সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হলে ওই শিক্ষার্থীকে অবশ্যই অনার্স (সম্মান) এবং মাস্টার্স কোর্সের নিয়মিত ছাত্র বা ছাত্রী হতে হবে।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন