২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

ছেলের হাতে নির্যাতনের শিকার সেই বৃদ্ধ হাসপাতাল থেকে উধাও

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:২২ অপরাহ্ণ, ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বরগুনার বামনা উপজেলার ছোট তালেশ্বর গ্রামের বৃদ্ধ আ. রশিদ হাওলাদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উধাও হয়েছে।

মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকালে ছগীর নামে এক ব্যক্তি ছেলে পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল থেকে তার নাম কেটে নিয়ে যায়। অথচ ছগীর নামে ওই বৃদ্ধের কোনো ছেলে নাই। তার দুই ছেলে বড় ছেলে মো. আলমগীর হাওলাদার আর ছোট ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার।

এ ঘটনায় আজ শনিবার নিখোঁজের জামাতা একই গ্রামের বাসিন্দা বেল্লাল হোসেন মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিখোঁজ হওয়া বৃদ্ধের জামাতা বেল্লাল হোসেন জানান, ছোট ছেলে মো. জাহাঙ্গীর হাওলাদার (৪২) নিজের নামে সম্পত্তি লিখে না দেওয়ার জন্য তার বৃদ্ধ বাবা আ. রশিদ হাওলাদারকে মারধর করত। চার মাস পূর্বে একই কারণে ছেলের পিটুনিতে ওই বৃদ্ধর একটি পা ভেঙ্গে যায়।

এ ঘটনাটি একটি দৈনিক পত্রিকায় গত ১৭ আগস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর বামনা থানা পুলিশ মামলা নিয়ে নির্যাতনকারী ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা জেলহাজতে পাঠায়। এক সপ্তাহ জেলহাজতে থাকার পরে বরগুনা কোর্ট থেকে সে জামিনে মুক্তি পায়।

তিনি আরো জানান, অসুস্থ শ্বশুরকে চিকিৎসা করাতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকালে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান তিনি। সেখানে চার দিন পুরুষ ওয়ার্ডে ৪১ নম্বর বেডে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে শ্বশুরকে হাসপাতালে রেখে তিনি বাইরে খেতে যায়। এই সুযোগে ছগীর হোসেন নামে একজন ওই বৃদ্ধের ছেলে পরিচয় দিয়ে হাসপাতাল থেকে তার নাম কেটে তাকে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তিনি মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

নিখোঁজ হওয়া বৃদ্ধের বড় ছেলে মো. আলমগীর হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে চিকিৎসার জন্য মঠবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ছেলে পরিচয় দিয়ে কেউ তাকে নিয়ে যায়। এর আগে আমার ছোট ভাইয়ের নির্যাতনে তার পা ভেঙ্গে যায়। পরে আমি এ ঘটনায় মামলা করলে সে কিছুদিন জেলহাজতে থাকে। আমার সন্দেহ আমার ছোট ভাই তাকে হাসপাতাল থেকে কৌশলে নিয়ে গেছে।

নিখোঁজ হওয়া বৃদ্ধের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর হাওলাদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে লোক মারফত শুনেছেন তাকে তার বোন হেনারা বেগম হাসপাতাল থেকে নাম কাটিয়ে ভাইজোড়া গ্রামের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন।

এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মনিরুজ্জামানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন