২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার

জনগণের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের ভালো আচরণ করতেই হবে: আইজিপি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৮:৩৮ অপরাহ্ণ, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: প্রতিটি মামলা নিবিড়ভাবে তদারকির মাধ্যমে নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মনিটরিং অব্যাহত রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। এ ক্ষেত্রে তিনি ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের তদারকি বাড়াতে বলেছেন। আইজিপি আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের শাপলা কনফারেন্স রুমে কোয়ার্টালি অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে এ কথা বলেন।

পুলিশপ্রধান বলেন- পুলিশের আচার-আচরণে ইতিবাচক অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। আমরা চাই, থানায় আগত সেবাপ্রার্থীর সাথে যে কোনো প্রকার খারাপ আচরণের কথা বাস্তব নয়, গল্প ও কল্পকথার অংশ হোক। সেটি বিবেচনায় নিয়েই কাজ করছি আমরা।

আইজিপি বলেন- জনবান্ধব পুলিশ হতে হলে, থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের জনগণের সঙ্গে ভালো আচরণ করতেই হবে, তাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে, সেবাপ্রার্থীর প্রতি সাপোর্টিভ হতে হবে। পেশিশক্তি নয়, পুলিশের কাজে আইনি সক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে।

ড. বেনজীর আহমেদ বলেন- পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে আমরা বিট পুলিশিং চালু করেছি। ইতিমধ্যে দেশব্যাপী বিট পুলিশিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, সফলভাবে বিট পুলিশিং করলে সমাজে অনেক অপরাধ কমে আসবে।

জনগণের সাথে নিবিড় যোগাযোগ ও সম্পর্ক বাড়াতে হবে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন- অপরাধের সংঘটন কমাতে প্রো অ্যাকটিভ পুলিশিং এর পাশাপাশি প্রিভেন্টিভ পুলিশিং এর চর্চা বাড়াতে হবে। বিট পুলিশিং চর্চা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে শুরু করেছে।

আইজিপি বলেন- শৃঙ্খলার সাথে কোনোভাবেই আপস করা যাবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী ও অন্যান্য পেশার মানুষের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ককে গুরুত্ব দিতে হবে। পেশাদার সম্পর্ক এড়িয়ে কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়। অধীনস্থদের গতিবিধি ও কাজকর্মের খোঁজখবর রাখতে হবে।

সভায় পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ড. মো. নাজিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মো. মহসিন হোসেন এনডিসি, এপিবিএন এর অতিরিক্ত আইজি মো. মোশাররফ হোসেন, টিএন্ডআইএম এর অতিরিক্ত আইজি ইব্রাহিম ফাতেমী, হাইওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মল্লিক ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি (ফিন্যান্স) এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজি মাযহারুল ইসলাম, এটিইউর অতিরিক্ত আইজি মো. কামরুল আহসান, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, সকল মেট্রোপলিটন কমিশনার ও রেঞ্জের ডিআইজিগণ উপস্থিত ছিলেন। জেলার পুলিশ সুপারগণ ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভায় ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) ওয়াই এম বেলালুর রহমান অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২০ কোয়ার্টারের অপরাধ পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

সভায় জানানো হয়েছে, অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২০ কোয়ার্টারে মামলা রুজু হয়েছে ৫০ হাজার ৮৫৮টি, যা গত ২০১৯ সালের একই কোয়ার্টারে ছিল ৫৩ হাজার ৬১৬টি। পূর্বের কোয়ার্টারের তুলনায় (জুলাই-সেপ্টেম্বর ২০২০) খুনের মামলা কমেছে ১২৮টি, যা মোট খুনের মামলার ১৩ দশমিক ৩৫ ভাগ। এছাড়া, উদ্ধারজনিত কারণে মামলা হ্রাস পেয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সূচকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে ।

আলোচনাকালে, আইজিপি মহাসড়ক ও সংলগ্ন এলাকায় ডাকাতি রোধে জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশকে যৌথভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন। জেলা পুলিশ সুপাররা মাদক মামলা, ওয়ারেন্ট তামিল ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ পুলিশ সদস্যদের কেন্দ্রীয়ভাবে পদোন্নতি পরীক্ষা গ্রহণ ও বিট পুলিশিং কার্যক্রমের সুফল তুলে ধরেন।

তারা বলেন, বিট পুলিশিংয়ের ফলে নারী ও শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং, দাঙ্গা, মারামারি ইত্যাদি অপরাধ অনেক কমেছে, যার সুফল জনগণ ভোগ করছে।’

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন