বরিশাল টাইমস রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাওলানা মো. নাসির উদ্দিনের মূল বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া উপজেলায়। নদী ভাঙ্গনে ভিটে-মাটি হারিয়ে প্রায় ১৭ বছর আগে বেতাগীর বিবিচিনি ইউনিয়নে পাড়ি জমান। স্থানীয়রা তাকে আশ্রয় দিয়ে মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব দেয়। মসজিদের ইমামতি এবং ছাত্রদের আরবি পড়িয়ে অর্জিত অর্থ দিয়ে বিবিচিনি শাহী মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় ১০ শতাংশ জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেন। মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন তার ক্রয়কৃত জমির পাশের পতিত সরকারি খাস জমিতে ঘর নির্মাণ করে পল্টি ব্যবসা শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় গিয়াস চৌকিদার সরকারি খাস জমি নিজের মালিকানাধীন সম্পত্তি দাবী করে বিভিন্ন সময়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে নাসির উদ্দিনকে জমির দখল ছাড়তে বলে। তবে নাসির উদ্দিন জমির দখল না ছাড়ায় গিয়াস চৌকিদার তার সহযোগীদের নিয়ে তার বাড়ি ভাঙচুর করে বাড়িতে টিনের বেড়া দেয়। এসময় তারা নাসির উদ্দিনের বাড়ির রান্না ঘর ভেঙ্গে ফেলে এবং পানির লাইনের পাইপ কেটে দিয়ে তাকে বাড়িতে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে স্থানীয়রা এসে তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে।
মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমি ১৭ বছর আগে বিবিচিনি ইউনিয়নে জমি কিনে বসবাস শুরু করি। আমি ক্রয়কৃত জমির পাশের সরকারি খাস জমি আমি সেই থেকে দখলে আছি। আমি ইতোমধ্যে উক্ত খাস জমি সরকারি বন্দোবস্ত চেয়ে ভুমি অফিসে আবেদন করেছি। তারা সরজমিনে এসে প্রতিবেদন নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমার পতিপক্ষ গিয়াস চৌকিদার সরকারি খাস জমিকে নিজের জমি হিসেবে দাবী করে আসছে। উক্ত জমি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে সে আমাকে বিভিন্ন সময়ে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলো। তবুও আমি জমির দখল না ছাড়ায় আমার বাড়ি ঘরে হামলা করে।